আন্তর্জাতিক

তলানিতে ঠেকেছে আফগানিস্তানের টিকাদান কার্যক্রম

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল গত ১৫ আগস্ট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয় দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। রাজনৈতিক গোলযোগে দেশের পরিস্থিতি এতোটা নাজুক অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে, করোনা মহামারি ঠেকাতে টিকাদান কর্মসূচি চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে টিকাদান কর্মসূচি ৮০ ভাগ কমে গেছে। খবর বিবিসির।

Advertisement

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থাটি জানায়, জনসন অ্যান্ড জনসনের ২০ লাখ ডোজ টিকা আফগানিস্তানে পৌঁছার কথা। কিন্তু নভেম্বরে এর নির্ধারিত সময়সূচি পার হয়ে যায়, এখনও অর্ধেকও পৌঁছায়নি।

দেশটির ৩৪টি প্রদেশের ২৩টির ৩০ হাজার পাঁচশো জন টিকা নেন ১৫ আগস্টের পর প্রথম সপ্তাহে, যেখানে এর আগের সপ্তাহে এক লাখ ৩৪ হাজার ৬শ জন টিকা নেন ৩০টি প্রদেশের, ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী।

ইউনিসেফের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, সংঘর্ষ এবং জরুরি অবস্থার মধ্যে আফগান নাগরিকরা সবার আগে তাদের জীবন বাঁচানো ও নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছেন।

Advertisement

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ডাটার বলছে, মাত্র ১ দশমিক ২ মিলিয়ন ডোজ টিকা দেওয়ার কাজ পরিচালিত হয়েছে গত ২০ আগস্ট পর্যন্ত যেখানে দেশটির জনসংখ্যা ৪০ মিলিয়ন।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনার পর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকানোর অভিযোগ তুলে আফগানিস্তানে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র রাষ্ট্রগুলো। ২০ বছর ধরে চলা তালেবান এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সেই যুদ্ধে নিহত হয়েছেন বহু মানুষ। হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ভেঙে পড়েছে আফগানিস্তানের অর্থনীতি।

এসএনআর/এমএস

Advertisement