মানিকগঞ্জের ঘিওরে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় এক গৃহশিক্ষিকার (২৫) শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রীর বাবার বিরুদ্ধে।
Advertisement
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাতে অভিযুক্ত শরিফ মিয়ার (৪০) বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণীর মা। শরিফ উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের দ্বিমুখী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দুই সন্তানের জনক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহশিক্ষিকা কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি শরিফ মিয়ার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে প্রাইভেট পড়াতেন। এর সূত্র ধরে শরিফের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু বছরখানেক আগে প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে পারিবারিকভাবে গৃহশিক্ষিকার বিয়ে হয়। স্বামী প্রবাসে থাকায় তিনি বাড়িতেই থাকতেন।
ভুক্তভোগী তরুণীর মা অভিযোগ করে জানান, তার মেয়েকে শরিফ বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন শরিফ। সোমবার রাতে কৌশলে তার মেয়েকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাগানে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শরিফ তার মেয়ের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় তিনি চিৎকার দিয়ে মাটিতে গড়াগড়ি খেতে থাকলে শরিফ পালিয়ে যান।
Advertisement
তিনি আরও জানান, স্বজনরা তার মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতেই রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ৩৮ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আজ সকালে মেয়েটির মা বাদী হয়ে শরিফ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আসামি পলাতক আছে। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বি.এম খোরশেদ/এসজে/এএসএম
Advertisement