রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ মাসকাটাদিঘী এলাকায় রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইবাসের চালক, স্বামী-স্ত্রী ও কলেজছাত্রীসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৪৭ জন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে মহানগরের মাসকাটাদিঘী পশ্চিমপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে রাজশাহী-নাটোর সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (পূর্ব) আবু জাফর সাতজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় দুর্ঘটনা কবলিত দুটি বাসের দুই চালকও নিহত হয়েছেন। তারা হলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ন্যাশনাল ট্রাভেলসের চালক নারায়ণগঞ্জের শহীদুল ইসলাম শহীদ (৫০) ও রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া অর্না ট্রাভেলসের চালক নাটোরের তকিয়া এলাকার নুরুন্নবীর ছেলে মিন্টু (৪০)। এ ঘটনায় নিহত অন্যরা হলেন, রাজশাহীর দুর্গাপুরের আড়িয়াল গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান (৬৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার নওসিরা গ্রামের আজগার আলী (৫৫), তার স্ত্রী বেলিয়ারা বেগম (৫০), পুঠিয়ার ভাল্লুকগাছি গ্রামের ময়েনউদ্দিন (৭০) ও জেলার বাঘা উপজেলার ফতেপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের মেয়ে ফারজানা শেখ লুবনা (২৮)। এদের মধ্যে লুবনা রাজশাহী সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী বলে জানা গেছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা থেকে ন্যাশনাল ট্রাভেলসের একটি বাস রাজশাহী শহরে ঢুকছিলো। অন্যদিকে আরেকটি বাস রাজশাহী থেকে বাগমারার তাহেরপুরে যাচ্ছিল। বেলা একটার দিকে দুটো বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চাপা পড়ে একটি অটোরিকশাও। এতে বাস দুটি উল্টে যায়। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাজশাহী দমকল বাহিনীর দুটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আহত অবস্থায় অন্তত ৫০ জনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নেয়ার পর পাঁচজন মারা যান। আর ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয় আরো দুটি লাশ। রামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহতদের মধ্যে আরো অন্তত ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনা কবলিত দুটি বাস ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়ে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (পূর্ব) আবু জাফর।শাহরিয়ার অনতু/এসএস/এমএএস/আরআইপি
Advertisement