অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ওসমান গণির নিম্ন (বিচারিক) আদালতের সাজা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই আদেশের ফলে নিম্ন আদালতের দেয়া ১২ বছরের সাজা হাইকোর্টেও বহাল রইলো।মঙ্গলবার ওসমান গণির করা সাজা বাতিলের আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।এর আগে ২০০৮ সালের ৫ জুন সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ওসমান গণিকে দুর্নীতির দায়ে ১২ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই আদালত স্বামীকে দুর্নীতিতে সহযোগিতা করার অপরাধে ওসমান গণির স্ত্রী মহসিন আরা গণিকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন ওসমানি গণি।তবে ওসমান গণির স্ত্রী পলাতক থাকায় তিনি আপিল করেননি। ওসমান গণি বর্তমানে কারাগারে আছেন। ব্যাপকভাবে বন নিয়ে দুর্নীতি করার জন্য ওসমান গণি বনের রাজা হিসেবে কুখ্যাতি লাভ করে। এমনকি তার বিরুদ্ধে এক কোটি ৮০ লাখ টাকার সম্পদ এবং তার স্ত্রীর দুই কোটি ৮০ লাখ টাকার সম্পদ এবং ২৭০ তোলা সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন আদালত।২০০৬ সালের ২৬ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী উত্তরা থানায় এই মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওসমান এবং তার স্ত্রী মোট ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।পরে ২০০৭ সালের ২৯ মে প্রধান বনরক্ষক ড. ওসমান গনিকে তার উত্তরার বাসা থেকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী এবং সে সময় বাড়ির চালের ড্রাম ও জাজিমের নিচে লুকিয়ে রাখা নগদ এক কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়।এফএইচ/আরএস/পিআর
Advertisement