বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘুরে দাঁড়ালে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
শামীম বলেন, বিএনপি আগুন সন্ত্রাস, বোমাবাজি ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করার কারণে জনবিচ্ছিন্ন ও গণধিকৃত দলে পরিণত হয়েছে। পত্রপত্রিকায় দেখলাম, এ গণধিকৃত দল নাকি সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান করবে। আর যাই হোক, গণধিকৃত দল দিয়ে গণঅভ্যুত্থান হয় না।
তিনি বলেন, গণআন্দোলন বা গণঅভ্যুত্থান গড়ে তুলতে হলে জনভিত্তি থাকা দরকার, যা বিএনপির নেই। সুতরাং হাঁক-ডাক দিয়ে লাভ হবে না। আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আওয়ামী লীগের জনভিত্তি আছে। কর্মীরা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ।
Advertisement
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী শামীম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তাই এখন জনগণ তাদের চরিত্র বুঝে গেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বোমাবাজি, লুটতরাজ, খুন ও হত্যা করে জনগণের যেমন কাজে আসেনি, তেমনি এখনো বিএনপি জনগণের কাজে আসছে না। করোনায় জনগণের পাশে নেই তারা। তারা এসিরুমে বসে শব্দবোমা ফাটাচ্ছেন আর খোয়াব দেখছেন যদি কিছু হয়। যদিও কিছু হওয়ার দিন শেষ। সেই পরিস্থিতি আর কখনো আসার সম্ভাবনা নেই।
আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আগস্ট মাস আমাদের জন্য শোকের মাস। এ মাস বেদনার মাস। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ও বাঙালি জাতিকে এতিম করতেই ১৫ আগস্ট ঘটানো হয়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এখন অনেকের মনেই নানা খায়েশ উঁকি দেয়। আমি বলি, সেই সময়ের আওয়ামী লীগ আর আজকের আওয়ামী লীগ এক নয়। কেউ মৌচাকে ঢিল ছোড়ার দিবাস্বপ্ন দেখবেন না। টিকতে পারবেন না। সামরিক আইয়ুব-ইয়াহিয়া টিকতে পারেননি। আপনারাও পারবেন না।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, কিসের জন্য গণঅভ্যুত্থান করতে চান? দেশে কিসের সংকট চলছে? দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে আছে। তাই আপনাদের ডাকে তারা সাড়া দেবে না। করোনার মধ্যেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে। কাজেই হাঁকডাক দিয়ে লাভ হবে না।
Advertisement
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আসলাম আড়াইহাজারে কিন্তু আড়াইহাজারকে চেনাই আমার জন্য মুশকিল। কারণ আজ থেকে ২০ বছর আগের আড়াইহাজার আর এখনকার আড়াইহাজার এক নয়। রাস্তা-ঘাট, ভবন, শহীদ মিনার, লাইব্রেরি, ডাকবাংলো আছে। আমার এলাকায় ডাকবাংলো নেই কিন্তু আপনাদের এখানে জেলার চেয়েও সুন্দর উন্নত ডাকবাংলো আছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, উপজেলা চেয়ারম্যান মুজাহেদুর রহমান হেলো সরকার ও আড়াইহাজার পৌর মেয়র সুন্দর আলী।
এসইউজে/এআরএ/জিকেএস