ধর্ম

কুরআনের উপমা ও তার জবাব

আল্লাহ তাআলার চ্যালেঞ্জ ঘোষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়ে গেল যে, কুরআন সত্য গ্রন্থ। যা এক অনন্য মুজিজা। আর তখন অবিশ্বাসীরা কুরআনের দোষ ধরতে শুরু করে। তারা বলে যদি কুরআন সত্যিকারার্থে আল্লাহর বাণী হয়, তবে তাঁর অবতীর্ণ বাণীতে এত ছোট ছোট জিনিসের দৃষ্টান্ত কেন? আল্লাহ তাদের কথার স্পষ্ট জবাব দেন। আল্লাহ বলেন-‘আল্লাহ তাআলা নিঃসন্দেহে মশা বা তদুর্ধ্ব বস্তু দ্বারা উপমা পেশ করতে লজ্জাবোধ করেন না। প্রকৃতপক্ষে যারা মুমিন তারা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করে যে, তাদের পালনকর্তা কর্তৃক উপস্থাপিত এ উপমা সম্পূর্ণ নির্ভূল এবং সঠিক। আর যারা অবিশ্বাসী তারা বলে, এরূপ উপমা উপস্থাপনে আল্লাহর মতলবই বা কি ছিল। এ দ্বারা আল্লাহ তাআলা অনেককে বিপথগামী করেন, আবার অনেককে সঠিক পথও প্রদর্শন করেন। তিনি অনুরূপ উপমা দ্বারা অসৎ ব্যক্তিবর্গ ভিন্ন কাকেও বিপথগামী করেন না। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ২৬)অর্থাৎ কোনো বক্তব্যকে শ্রোতাদের নিকট সুস্পষ্ট করার জন্য দৃষ্টান্ত দেয়া হয়। তাতে বক্তার ব্যক্তিত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের সঙ্গে দৃষ্টান্তের সামঞ্জস্য থাকা জরুরি নয়। আল্লাহ তাআলা কুরআনের বিভিন্ন স্থানে সত্যের বক্তব্য সুস্পষ্ট করার জন্য মশা, মাছি ও মাকড়শা ইত্যাদির দৃষ্টান্ত দেন। তাই যারা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী তারা ঐ দৃষ্টান্তকে সত্য বলে বিশ্বাস করে। তাতে ঈমানদারের ঈমান বর্ধিত হয়।পক্ষান্তরে যারা অবিশ্বাসী তারা আল্লাহর দৃষ্টান্তে প্রশ্ন উত্থাপন করে। এটা কেমন বাণী যে এই ধরনের তুচ্ছ ও নগন্য জিনিসের দৃষ্টান্ত দেয়া হয়েছে। মূলত যারা সত্য বুঝতে চায় না, সত্যের মর্ম অনুসন্ধান করে না, তারা সত্য থেকে আরো দূরে চলে যায়। পথভ্রষ্ট হয়ে বিপথগামী হয়।বস্তুত ঈমান ও কুফরের পার্থক্য এভাবেই সুস্পষ্ট হয়। কুরআনের দৃষ্টান্ত যত ক্ষুদ্রই হোক ঈমানদার বলে এটিই হক্ব এবং যুক্তির কথা। আর অবিশ্বাসী তারা প্রশ্ন উত্থাপন করবে যে এ দৃষ্টান্তের তাৎপর্য কি? এভাবে তাদের গোমরাহী বৃদ্ধি  পেতে থাকে।আল্লাহ তাআলা আমাদের অন্তরকে ঈমানের নূর দ্বারা আলোকিত করুন। সঠিক পথের দিশা দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর

Advertisement