হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে কাগজে-কলমে তিনটি কিশোর-কিশোরী ক্লাব থাকলে দেখা মিলেছে একটির। উপজেলার নুরপুর ইউনিয়ন পরিষদে একটি ক্লাবের অস্তিত্ব মিললেও সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র আটজন। নেওয়া হয় না ক্লাস।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার কিশোর-কিশোরী ক্লাবের ঠিকানা দেখানো হয়েছে বিরামচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের ক্লাবের ঠিকানা দেখানো হয়েছে নিশাপট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে তার কোনো অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি। অথচ প্রত্যেক ক্লাবের শিক্ষার্থীদের নাস্তা বাবদ প্রতিমাসে আট হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিলো কিশোর-কিশোরী ক্লাবের কার্যক্রম। গত ১১ আগস্ট কিশোর-কিশোরী ক্লাবের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) জয়ন্ত কুমার সিকদার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস চালু করার নির্দেশনা দেন।
কিশোর-কিশোরী ক্লাবের জেন্ডার প্রমোটার শিমু আক্তার বলেন, উপজেলায় তিনটি ক্লাব থাকলেও শিক্ষক স্বল্পতার কারণে শুধু নুরপুর ইউনিয়নের ক্লাবটি চালু আছে।
Advertisement
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাহমিদা ইয়াসমিন বলেন, প্রকল্প অনুমোদনের সময় ব্রাহ্মণনডোরা ইউনিয়ন না থাকায় শায়েস্তাগঞ্জে তিনটি ক্লাব অনুমোদন পায়। বর্তমানে নুরপুর ইউনিয়নের ক্লাবটি চালু আছে। বাকি দুইটি ক্লাবে শিক্ষক না থাকায় চালু করা হয়নি।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, করোনা কালীন সময়ে কিশোর-কিশোরী ক্লাব বন্ধ ছিলো। সম্প্রতি খোলা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে ২০১৯ সালে ‘শেখ হাসিনার উন্নয়ন, কৈশোরের জাগরণ’ প্রতিপাদ্যে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের কার্যক্রম শুরু করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/আরএইচ/এমএস
Advertisement