দেশজুড়ে

‘আমরা কই যাবো, কে আশ্রয় দিবো?’

মুন্সিগঞ্জে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকায় আকস্মিক পদ্মার ভাঙন শুরু হয়েছে। শনিবার (২১ আগস্ট) দিনগত রাত থেকে রোববার (২২ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত ভাঙনে মূলচর ও কামাড়পাড়া এলাকায় বিলীন হয়েছে ভিটেমাটিসহ ১০টি বসতঘর। এই অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

Advertisement

সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মার শাখা নদী সংলগ্ন দিঘীরপাড় এলাকার শত বছরের প্রাচীন মূলচর ও কামাড়পাড়া এলাকায় নদী অব্যাহত রয়েছে। তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙন বাড়ছে। ভাঙন শুরু হওয়ায় অনেকে ঘরবাড়ি অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার শুধু বাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে; বাস্তবায়ন হয়নি। বাঁধ না থাকায় তারা পদ্মার ভাঙনে তারা বাপ-দাদার বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হতে বসেছেন।

চন্দনা নামের এক নারী বলেন, ‘হঠাৎ কইরা সব ভাইঙা গেলো। আমাগো থাকার জায়াগাটুকুও এখনো নেই। আমরা কই যাবো, কে আশ্রয় দিবো?’

Advertisement

রুমা রাণী মণ্ডল নামের আরেক নারী বলেন, ‘কিচ্ছু রইলো না। এখন কোথাও যদি জায়গা পাই যাবো, নয়তো নদীর দিকে তাকাই আছি। নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে মরে যাবো। এটাই হইবো সান্ত্বনা।’

এ বিষয়ে দিঘীরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন হালদার জানান, শনিবার রাত থেকে কামাড়পাড়া গ্রামে ১০টি ও এর আগে নদী পাড়ের ৩০টি বসতঘর নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে।

আরাফাত রায়হান সাকিব/এসআর/জেআইএম

Advertisement