আন্তর্জাতিক

বিশ্বে করোনায় মৃত্যু-শনাক্ত কমেছে

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃত্যু কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আট হাজার ৬৬৬ জন। একই সময়ে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ১৬৮ জন। এই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৭৫ হাজার ৬৪০ জন।

Advertisement

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যান ১০ হাজার ২০৫ জন। একই সময়ে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হন ছয় লাখ ৮২ হাজার ২০২ জন। আর সুস্থ হন পাঁচ লাখ ১২ হাজার ২২১ জন।

রোববার (২২ আগস্ট) সকাল সোয়া ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২১ কোটি ২১ লাখ তিন হাজার ৯১৫ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪৪ লাখ ৩৫ হাজার ৫১৯ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮ কোটি ৯৭ লাখ ৩৪ হাজার ৮২১ জন।

Advertisement

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখনও বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা তিন কোটি ৮৫ লাখ ১৯ হাজার ২৯৪ জনে। এর মধ্যে ছয় লাখ ৪৪ হাজার ৮৪০ জন মারা গেছেন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি চার লাখ ৬৩ হাজার ৫৬ জন।

সংক্রমণে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা তিন কোটি ২৪ লাখ ২৩ হাজার ৫৪৯ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৯ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন কোটি ১৬ লাখ ২৯ হাজার জন।

সংক্রমণের তালিকায় তৃতীয় কিন্তু মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দুই কোটি পাঁচ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার ২৪৩ জন। আর সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৯৪ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ জন।

সংক্রমণের এ তালিকায় এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, স্পেন, ইরান ইতালি।

Advertisement

সংক্রমণের তালিকায় ২৭ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ১৯৪ জন। আর এতে মারা গেছেন ২৫ হাজার ১৪৩ জন। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৪২১ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।

ইএ/এমএস