গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৪৪ বছরে এসেও বাংলাদেশের যেমন অনেকগুলো অর্জন আছে, আবার রয়েছে অনেক ব্যর্থতা। সবচেয়ে বড় দুটি অর্জন হলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন করা ও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হলো মুক্তিযুদ্ধের শহীদ পরিবারগুলোর কোনো খবর ও দায়-দায়িত্ব আমরা নেইনি।’সোমবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘জামাত-শিবির নিষিদ্ধের দাবি: মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খার বাংলাদেশ বিনির্মানে কোন পথে আমরা’ শীর্ষক আলোচনা সভাটির আয়োজন করে গণজাগরণ মঞ্চ। ইমরান বলেন, ‘আমাদের ৩০ লাখ শহীদ পরিবার কেমন আছেন, তাদের সংসার কিভাবে চলছে এর খোজ-খবর কেউ নেয়নি। রাষ্ট্র, সরকার বা কোনো রাজনৈতিক দলও নেয়নি। আমরা শহীদদের আত্মদানকে শুধু বিভিন্ন দিবসে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ রেখেছি।’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের সফলতার জন্য সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন করা, শহীদদের আত্মদানের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, শহীদ পরিবারদের সম্মান করা। যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম দেশের জন্য প্রাণ দাতাদের সম্মান করে।’ এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানের সাথে সকল সম্পর্ক স্থগিত করায় স্বাগত জানিয়ে ইমরান বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি শুধু ঢাবি নয় বরং দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে। বাংলাদেশের সরকারও তাদের সাথে সকল প্রকার কুটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে। এবং আশা করছি সরকার তা দ্রুতই করবে।’ ইমরান বলেন, ‘শহীদদের আকাঙ্খার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি। সরকার কালক্ষেপণ না করে দ্রুত তা নিষিদ্ধ করবে এ প্রত্যাশা করছি।’ এসময় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে বিজয় দিবস পালন করে জঙ্গিবাদ ও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী, জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন ইমরান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জিলানী শুভ, ভাস্কর রাসা, মুক্তিযোদ্ধা শেখ বাতেন, উদীচির সহ-সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম, প্রজন্ম একাত্তরের সভাপতি সাইদুর রহমান।আলোচনা সভা শেষে একটি মশাল মিছিল বের করে গণজাগরণ মঞ্চ। মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণ প্রদক্ষিণ করে আবার শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। এরপর একটি পথনাটক পরিবেশন করা হয়। এমএইচ/এসকেডি/আরআইপি
Advertisement