রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে তিনি মারাত্মকভাবে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
Advertisement
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন রাত পৌনে ৮টায় জাগো নিউজ জানান, হাসান আজিজুল হকের চিকিৎসার্থে গঠিত মেডিকেল বোর্ড ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় তাকে বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (২১ আগস্ট) এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় এনে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন বিকেল ৩টায় জাগো নিউজকে জানিয়েছিলেন, ‘৮৩ বছর বয়সে কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে (ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্ট) ভুগছেন। এক কথায় তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন।’
Advertisement
এর আগে হাসান আজিজুল হককে সকাল ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে রাজশাহী বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। পরে তাকে নিয়ে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়।
গত ১৬ আগস্ট হাসান আজিজুল হকের ছেলে ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ হাসান ফেসবুক পোস্টে তার বাবার অসুস্থতার কথা জানান।
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘বাবার বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়াও আগে থেকেই হার্টের সমস্যা ও ডায়াবেটিস রয়েছে। বর্তমানে তিনি হাইপোনাট্রেমিয়ায় অর্থাৎ শরীরে লবণের ঘাটতিতে বেশি ভুগছেন। তিনি একেবারে নিস্তেজ হয়ে গেছেন। চিন্তাশক্তিও কমে গেছে। খুব বেশি কথা বলতে পারছেন না। কাউকে সেভাবে চিনছেনও না।’
হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি রাজশাহীতে কাটিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দর্শন বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন। ২০০৪ সালে অবসরে যান তিনি।
Advertisement
এমইউ/এআরএ/এমকেএইচ