ফিলিপাইনে সংক্রমণ ও মৃত্যুর রেকর্ডের মধ্যেই লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রোদ্রিগো দুতের্তে। অর্থনীতি গতিশীল করতে শনিবার থেকেই লকডাউন শিথিল হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার নতুন করে ১৭ হাজার ২৩১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা মহামারি শুরুর পর দেশটিতে এখন পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা।
Advertisement
এছাড়া করোনা সংক্রমণে নতুন করে আরও ৩১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত চার মাসের মধ্যে গতকাল সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় এগিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে একটি ফিলিপাইন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১৮ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ৩১ হাজার ১৯৮ জন।
করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে লোকজনকে দ্রুত টিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া অসুস্থ বোধ করলেই দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শও দেয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বাড়ি-ঘর, কমিউনিটি এবং কর্মক্ষেত্রে সংক্রমণ কমিয়ে আনতে সহায়তা করে প্রাথমিক পরামর্শ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
বর্তমানে দেশটিতে সংগৃহীত নমুনার ২৬ শতাংশের বেশি পজিটিভ শনাক্ত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্তের এই হার সর্বোচ্চ। বর্তমানে দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ২৫১। গত চার মাসের মধ্যে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ।
Advertisement
হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশটির ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে ৭৩ ভাগ ইতোমধ্যেই ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া ৬১ শতাংশ আইসোলেশন বেড খালি নেই।
এর আগে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পুণরায় চালু করার জন্য মেট্রো ম্যানিলায় লকডাউন শিথিলের অনুমতি দেন দুতের্তে। মেট্রো ম্যানিলার আওতায় ১৩টি শহর রয়েছে যেখানে ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষের বসবাস।
দক্ষিণ এশিয়ায় করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি ফিলিপাইন। দীর্ঘদিন ধরে লকডাউনের কারণে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতির গতি আবারও ফিরিয়ে আনতেই লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর গত বছর দেশটিতে প্রথম করোনায় একজনের মৃত্যুর পর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফিলিপাইনে লকডাউন জারি করা হয়।
Advertisement
টিটিএন/জিকেএস