আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পৌঁছেছেন তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আব্দুল গানি বারাদার। সেখানে তিনি জিহাদি নেতা ও আফগান রাজনীতিবিদদের সঙ্গে একটি ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ সরকার গড়ার বিষয়ে আলোচনা করবেন। শনিবার তালেবানের এক জ্যেষ্ঠ নেতা বার্তা সংস্থা এএফপি’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে খলিল হাক্কানির মতো তালেবানের অন্য শীর্ষ নেতাদের আফগান রাজধানীতে দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হাক্কানি এখনো ‘মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী’, যার মাথার বিনিময়ে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তালেবানপন্থি নিউজফিডে হাক্কানিকে গুলবাদিন হেকমতিয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেখা গেছে। নব্বইয়ের দশকে গৃহযুদ্ধ চলাকালে তারা একে অপরের চরম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিলেও আফগান রাজনীতিতে এখনও বেশ প্রভাব রয়েছে হেকমতিয়ারের।
তালেবান আফগান রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দুদিন পরেই গত মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) কাতার থেকে দেশে ফেরেন মোল্লা বারাদার। তবে সরাসরি কাবুলে না গিয়ে তালেবানের আধ্যাত্মিক জন্মস্থান কান্দাহারে পা রাখেন তিনি।
Advertisement
বারাদারের প্রত্যাবর্তনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ঘোষণা দেয়, আগের তুলনায় তাদের এবারের শাসননীতি হবে সম্পূর্ণ ‘ভিন্ন’।
তালেবান জানিয়েছে, তারা সব জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গড়তে আগ্রহী। তবে এতে কারা থাকবেন, কে নেতৃত্ব দেবেন সে বিষয়ে এখনো স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। অবশ্য কিছু গণমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, মোল্লা বারাদারই হতে চলেছেন তালেবান সরকারের নতুন প্রধান।
২০১০ সালে পাকিস্তানে গ্রেফতার হয়েছিলেন তালেবানের অন্যতম এ প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের চাপে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক অফিসের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন বারাদার। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সমঝোতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার।
কেএএ/এমকেএইচ
Advertisement