দেশজুড়ে

সন্ধ্যার তীব্র স্রোতে হুমকির মুখে ফেরিঘাট

কাউখালী উপজেলার সন্ধ্যা নদীর ত্রিমুখী ভাঙনের মুখে পড়েছে আমরাজুড়ী ইউনিয়নের স্বরূপকাঠী-কাউখালী সড়ক সংযোগকারী ফেরিঘাট। এছাড়া বাজারের ৩০টি বিভিন্ন দোকান গ্রাস করছে রাক্ষুসে নদী সন্ধ্যা। সরেজমিনে দেখা যায়, আরো অনেক দোকান, বাড়ি-ঘর, মসজিদসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে যাবার পথে। এ পর্যন্ত নদী ভাঙনের কারণে বহুবার ফেরিঘাট স্থানান্তর করতে হয়েছে। এই ফেরিঘাট থেকে পিরোজপুর-গড়িয়ার পাড় হয়ে বরিশাল-ঢাকা-বানারিপাড়া-নেছারাবাদ-কাউখালী-পিরোজপুর-বাগেরহাটসহ খুলনা যাতায়াত করে। আমরাজুড়ী-শেখেরহাট-ঝালকাঠী-বরিশাল (সংক্ষিপ্ত সড়ক) এর রাস্তাটিও ভাঙনের মুখে। এলাকার ব্যবসায়ী শাহ জামালসহ ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, তিন নদীর মোহনায় আমরাজুড়ী ফেরিঘাট হওয়ায় এ ভাঙনের মুখে পড়ছে এলকাবাসী। অবিলম্বে যদি বেড়িবাঁধ না করা হয় তাহলে আমরাজুড়ী ইউনিয়নের বিরাট একটি অংশসহ কাউখালী-শেখেরহাট সংযোগ সড়কটি বিলীন হয়ে যাবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে সন্ধ্যা নদীর ভাঙনরোধে কাউখালী বন্দর রক্ষা প্রকল্প নামে ২২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হলে তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। এ ব্যাপারে আমরাজুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণ লাল গুহ জানান, ভাঙনরোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়া হলে বাজার ও ফেরিঘাট রক্ষা করা সম্ভব হবে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। হাসান মামুন/এমএএস/আরআইপি

Advertisement