যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে প্রায় ৪২ লাখ টাকা দামের প্রিন্টার সরবরাহ নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষ মুখোমুখি অবস্থান করছে। ঠিকাদারের দাবি বোর্ড সচিবকে ঘুষ না দেওয়ায় কার্যাদেশ বাতিল করে দেওয়ায় তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর বোর্ড সচিবের দাবি ঠিকাদার নির্দিষ্ট সময়ে মালামাল সরবরাহ না করায় তার কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। এ অবস্থায় বিদেশ থেকে আনা হাইস্পিড লেজার প্রিন্টার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ঠিকাদার আতাউর রহমান।সোমবার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাল্টি কমম্পিউটারের স্বত্ত্বাধিকার আতাউর রহমান বলেন, ৬টি হাইস্পিড লেজার প্রিন্টার ক্রয়ের জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়ায় তিনি গত ২ জুলাই প্রিন্টারগুলো সরবরাহের জন্য কার্যাদেশ পান।এগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করে আনতে বিলম্ব হওয়ায় ২ আগস্ট তিনি সচিব বরাবর সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। কিন্তু সময় বাড়ানোর জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন বোর্ড সচিব। টাকা না দিলে কার্যাদেশ বাতিল করে দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়ে দেন। এরইমধ্যে প্রিন্টারগুলো বিদেশ থেকে চলে আসলে সেগুলো নেওয়ার জন্য সচিব বরাবর চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু সচিব সেগুলো নিতে রাজি হননি। আতাউরের দাবি, এ অবস্থায় কার্যাদেশ অনুযায়ী প্রায় ৪২ লাখ টাকা দামের প্রিন্টারগুলো না নেওয়ায় তিনি আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এতো দামি প্রিন্টার অভ্যন্তরীণ বাজারেও বিক্রি করা সম্ভব হবে না বলে তার দাবি। এজন্য গত ১ ডিসেম্বর যশোরের স্পেশাল জজ আদালতে শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি আইনে মামলা করেছেন তিনি। যা দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন। তবে ভিন্ন কথা বলছে শিক্ষা বোর্ড। যশোর শিক্ষা বোর্ডের সচিব মোল্লা আমীর হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি সময়মতো প্রিন্টার সরবরাহ করতে পারেনি। শেষ সময়ে তারা সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিলো। কিন্তু সময় বাড়ানো হয়নি। তার কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। আর দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাঁচ লাখ টাকা ঘুষের দাবি ভিত্তিহীন। শিক্ষাবোর্ডকে দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে সংগ্রাম করছি। তাই একটি মহল তাকে দিয়ে এ ধরনের মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ উত্থাপন করাচ্ছে।মিলন রহমান/এমএএস/আরআইপি
Advertisement