দেশজুড়ে

পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে খাগড়াছড়িতে ভ্রমণপিপাসুরা

দীর্ঘ সাড়ে চার মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) থেকে খুলেছে খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্রের বন্ধ দুয়ার। এ খবরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাহাড়ি এ জনপদে আসতে শুরু করেছেন ভ্রমণপিপাসুরা। তবে পর্যটকদের উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা গেছে। ধীরে ধীরে এ সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশাবাদী পর্যটনব্যবসার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা।

Advertisement

ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা মো. বেলাল হোসেন বলেন, করোনার কারণে আমরা দীর্ঘদিন গৃহবন্দি ছিলাম। পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে এখানে চলে এলাম।

আলুটিলার সুরঙ্গ দেখে উচ্ছ্বসিত এ পর্যটক বলেন, অনেকদিন পরে হলেও ঘর থেকে বের হয়ে স্বস্তি পেলাম।

এদিকে, পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মাস্ক না পরলে করে কাউকে পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

Advertisement

খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, রিছাং ঝরনা, হর্টিকালচার সেন্টার ও মায়াবিনী লেকসহ প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র সরকারি ঘোষণার পরপরই প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধের পর পর্যটকবাহী পরিবহনগুলোর চালক-শ্রমিকদের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার হয়।

খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের কফি হাউস ও জুস কর্নারের ব্যবস্থাপক মো. সাদেকুর রহমান বলেন, পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার পর প্রথম দিনে পর্যটকদের উপস্থিতি খুব একটা ছিল না। তবে ধীরে ধীরে পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়তে পারে।

খাগড়াছড়ির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে তত্ত্বাবধায়ক চন্দ্রকিরণ ত্রিপুরা জানান, করোনার প্রভাবে হোঁচট খায় পাহাড়ের পর্যটন শিল্প। এতে মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে এ খাত। পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার পর প্রথম দিনে পর্যটকদের উপস্থিতি আশানুরূপ না হলেও আশা করছি ধীরে ধীরে এ সংখ্যা বাড়বে।

মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এসজে/এমএস

Advertisement