রাজধানীর অদূরে ডেমরায় প্রায় ১১৫ একর জমিতে সিটি হাই-টেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পুরো পার্কটি গড়ে তুলবে সিটি গ্রুপ। বেসরকারি এই পার্ক চালু হলে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে সিটি গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
Advertisement
এর আগে গত ৩১ মে, ‘সিটি হাই-টেক পার্ক’-কে বেসরকারি হাই-টেক পার্ক হিসেবে ঘোষণা করে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। এর ফলে এই পার্কে বিনিয়োগকারীরা ১৪টি প্রণোদনা সুবিধাসহ বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ থেকে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস পাবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিটি গ্রুপকে পার্ক ডেভেলপার হিসেবে স্বীকৃতি দিলো বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ ও সিটি হাই-টেক পার্ক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হাসান।
Advertisement
এ চুক্তির মাধ্যমে হাই-টেক পার্ক ডেভেলপার হিসেবে সিটি গ্রুপ অফ-সাইট ও অন-সাইট সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন, মাটিভরাট, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সরবরাহ, স্ট্যান্ডার্ড বিল্ডিং নির্মাণ, পার্কের ভেতরে প্রশস্ত রাস্তা, লেক, উন্নতমানের ফুড কোর্ট, এসটিপি স্থাপনসহ পার্ক ডেভেলপের সাথে সংশ্লিষ্ট সব কাজ করার সুযোগ পাবে। এছাড়া পার্কে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, সিটি গ্রুপের মতো বড়ো প্রতিষ্ঠান হাই-টেক পার্ক স্থাপনে এগিয়ে আসায় দেশের অন্য কোম্পানিগুলোও উৎসাহিত হবে। সিটি গ্রুপ দ্রুততম সময়ে এই পার্ক ডেভেলপ করে কর্মচঞ্চল পরিবেশ সৃষ্টি করবে বলে আশা করি।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, দেশে এই মুহূর্তে পাঁচটি হাই-টেক পার্ক বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত ও আরও তিনটি পার্ক উদ্বোধনের অপেক্ষায়। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ৩৫৫ একর জমিতে বিভিন্ন কোম্পানি কাজ করছে। এখান থেকে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. হাসান বলেন, যেসব ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য বাংলাদেশে তৈরি করার কথা কেউ চিন্তাও করতে পারেনি, আমরা সেগুলো তৈরি করবো। মাইক্রোপ্রসেসর, চিপ ডিজাইন, সার্কিট ডিজাইন, মোবাইল, ল্যাপটপ, টিভি, ফ্রিজ উৎপাদন/সংযোজন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল অ্যান্ড টেকনোলজি কনসালটেনশন ফার্ম, নেটওয়ার্কিং, ডাটা সেন্টার, সাইবার সিকিউরিটি, প্রোগ্রামিং, প্রজেক্ট ম্যানেজেমেন্ট, মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপনসহ আইটি শিল্প ইউনিট স্থাপনে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা হবে। এছাড়াও ডরমিটরি ও সায়েন্স পার্ক স্থাপন করা হবে।
Advertisement
সিটি হাই-টেক পার্কে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে ও ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) এন এম সফিকুল ইসলামসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/বিএ/এমএস