বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায়ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় ৯৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
Advertisement
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) ফজলুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে এসআই শাহজালাল মল্লিক বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় হুকুমের আসামি করা হয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক খন্দকার ফরিদ হোসেনকে।’
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের আরও ৯৪ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩০০ থেকে ৪০০ ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
Advertisement
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বেআইনিভাবে জমায়েত হয়ে মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর, বাসভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের অস্ত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টা, আনসার সদস্যদের ওপর গুলিবর্ষণ, পুলিশের কর্তব্যে বাধা, আক্রমণ, হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণসহ নানা অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে, একই দিন দুপুরে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় আরও একটি মামলা করা হয়। বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে সরকারি বাসভবনে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ এনে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে অনাধিকার প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত এবং গুলিবর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয়েছে কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক আনোয়ার হোসেনকে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই দুই মামলার ১৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপর ১১ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে বুধবার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাতে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে কয়েক দফা হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ অন্তত ৩০-৪০ জন আহত হন।
Advertisement
সাইফ আমীন/ইএ/এমএইচআর