আগামী ৩০ ডিসেম্বর বগুড়ার ৯টি পৌরসভা নির্বাচনে ৩০ জন মেয়র এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৪৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১১৮ জনের মধ্যে সোমবার প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। এক প্রতীক একাধিক প্রার্থী দাবি করায় তাদের মধ্যে লটারি করে প্রতীক বন্টন করা হয়। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী রুহুল আমীন সরকার এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক সাইফুল ইসলাম দুইজনই উটপাখি প্রতীক দাবি করেন। পরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাকির হোসেন দুজনের মধ্যে লটারি করেন। এতে রুহুল আমীন সরকার উটপাখি প্রতীক পান। পরে সাইফুল ইসলাম পানির বোতল প্রতীক নেন। এভাবেই সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ২৫ জন সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন। ধুনট পৌরসভা নির্বাচনে তিন মেয়র, ১২ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও ২৪ সাধারণ কাউন্সিলরের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাফিজুর রহমান এ প্রতীক বরাদ্দ দেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শরিফুল ইসলাম খান (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলিমুদ্দিন হারুন মন্ডল (ধানের শীষ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এজিএম বাদশাহ্ (জগ) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।ধুনট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলমগীর জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তিনজন মেয়র প্রার্থী, ১২ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ২৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।প্রতীক বরাদ্দ পাবার পর নির্বাচনী যুদ্ধে প্রার্থীরা ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন। এবার পৌরসভা নির্বাচনে বগুড়া জেলার নয়টি পৌরসভায় মোট ৩ লাখ ৭০ হাজার ৯১১ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬ জন। সংরক্ষিত ৩১টিসহ ১২৪টি ওয়ার্ডে মোট ১৭৩টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৬টি বুথে এসব ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী জানান, প্রতীক বরাদ্দের দিন কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে একাধিক দাবিদার থাকায় অনেক স্থানেই লটারি করে প্রতীক বরাদ্দ দিতে হয়েছে।লিমন বাসার/এমএএস/আরআইপি
Advertisement