অর্থনীতি

স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল আদায় হবে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা মহাসড়কে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হবে। স্বয়ংক্রিয় এ পদ্ধতি চালুর জন্য কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে নির্বাচিত করেছে সরকার।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে অর্থনীতিবিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় কোরিয়ান কোম্পানিকে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব পাস হয়।

কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাজেন্সির অর্থায়নে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে।

এ বিষয়ে বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের জানান, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এই টোল আদায় করা হবে। গাড়ির সামনের যে উইন্ড স্ক্রিন, সেখানে একটা স্টিকার থাকবে। গাড়িটি যখন যাবে তখন স্ক্যান করে অটোমেটিক গাড়ির অ্যাকাউন্ট থেকে টোল আদায় হয়ে যাবে। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ভাঙা পর্যন্ত তিনটি ব্রিজ রয়েছে। সব টোল সমন্বিত পদ্ধতির মাধ্যমে আদায় হবে।

Advertisement

তিনি আরও জানান, দক্ষিণ কোরিয়ায় চার হাজার ১১২ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে ও এক বছর ৩৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা রয়েছে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনের। রাস্তায় কী পরিমাণ যানবাহন রয়েছে, কোন পথে দিয়ে গেলে সুবিধা হবে এসব তথ্যও তারা দেখাতে পারে। প্রথমে পাঁচ বছরের জন্য তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। পরে চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে।

এদিন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ (২য় পর্যায়) প্রস্তাব পাস হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডের কাছ থেকে ২০৪ কোটি ৩৩ লাখ ২৫ হাজার টাকায় এ প্রকল্পের সরঞ্জাম কিনবে। প্রকল্পের আওতায় (তিন পার্বত্য জেলার জন্য) ১০০ ওয়াট পিক ক্ষমতাসম্পন্ন ৪০ হাজার সোলার হোম সিস্টেম ও ৩২০ ওয়াট পিক ক্ষমতাসম্পন্ন দুই হাজার ৫০০ সোলার কমিউনিটি সিস্টেম স্থাপন করা হবে।

অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এই তিনটি জেলার দুর্গম এলাকায় সোলার সিস্টেমগুলো দেওয়া হবে। স্থানীয়রা উপকৃত হবেন। এটা গ্রাহকদের বিনামূল্যেই দেওয়া হবে।

Advertisement

এদিন ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে সৌদি বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (সাবিক) কাছ থেকে দ্বিতীয় লটে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার ১১৯ কোটি ৮২ লাখ দুই হাজার ৭৬০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি টন সারের দাম পড়েছে ৪৭০ দশমিক ১৬ ডলার।

এছাড়া কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে তৃতীয় লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাবও পাস হয়েছে।

১১১ কোটি ১১ লাখ ৪৬ হাজার টাকায় এ সার কিনছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)। প্রতি টনের মূল্য পড়ছে ৪৩১ ডলার।

আইএইচআর/এএএইচ/এএসএম