ভোজ্যতেলে আমদানিনির্ভরতা কমাতে ‘মিশন পাম তেল’-এর অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ১১ হাজার ৪০০ কোটি রুপির এ প্রকল্পে দেশটিতে পাম তেলের উৎপাদন বাড়ানো হবে। এজন্য উত্তর-পূর্ব ভারত ও আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় বাড়তি গুরুত্ব দেবে নরেন্দ্র মোদির সরকার। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
Advertisement
ভারতীয় মন্ত্রিপরিষদ সচিবলায়ের পক্ষ থেকে বুধবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভোজ্যতেলের জন্য মূলত আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয় ভারতকে। সেজন্য দেশেই পাম তেলের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৮০ কোটি ডলারের পাম তেল (অপরিশোধিত ও পরিশোধিত) আমদানি করেছে ভারত। এর বেশিরভাগই এসেছে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতে মাত্র ৩ দশমিক ৭ লাখ হেক্টর জমিতে ভোজ্যতেল উৎপাদন হয়। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে এর পরিমাণ বাড়িয়ে ১০ লাখ হেক্টর করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভারতে অপরিশোধিত পাম তেলের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়াবে ১১ দশমিক ২ লাখ টন আর ২০২৯-৩০ অর্থবছর নাগাদ তা ২৮ লাখ টনে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ‘মিশনে’ ৮ হাজার ৮৪৪ কোটি রুপি দেবে কেন্দ্র ও ২ হাজার ১৯৬ কোটি রুপি আসবে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত পাম তেলের দামের অস্থিরতায় কৃষকরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেজন্য তাদের হাতে সরাসরি অর্থ তুলে দেবে ভারত সরকার। ‘ডিরেক্ট বেনেফিট ট্রান্সফার’-এর মাধ্যমে এই অর্থ প্রদান করা হবে। এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০৩৭ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত।
Advertisement
গত বছর করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর ভারতের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে গিয়েছিল। কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কথা জানিয়েছিল মোদি সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই আমদানিনির্ভরতা কমবে। তাতে দেশীয় বাজারে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
কেএএ/জিকেএস