রাজনীতি

গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি ফখরুলের

গ্রেফতার বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মী নিয়ে জিয়ার মাজারে ফুলেল শ্রদ্ধা দিয়ে, জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি।

Advertisement

ফখরুল বলেন, আজকেও এখানে আসার সময় আমি শুনেছি ২৫ জনের মতো নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গত পরশু এবং আজকের গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দেয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

মহাসচিব বলেন, একটি বিশেষ উদ্দেশ নিয়ে জিয়াউর রহমান স্বেচ্ছাসেবক দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু এত বছর পর এসেও তারা মুক্ত পরিবেশে কাজ করতে পারছে না।

Advertisement

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা অনেক আশা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। সাংবাদিকরা নির্ভয়ে লিখতে পারবে, একটি গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠিত হবে, গণতান্ত্রিক চিন্তাধারায় দেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে, মানুষ নির্ভয়ে কথা বলতে পারবে। কিন্তু সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই। বাংলাদেশ এখন একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের যাতাকলে পড়ে সম্পূর্ণরূপে কর্তৃত্ববাদী শাসনের কবলে পড়েছে।

চন্দ্রিমা উদ্যানে প্রবেশ করার মুহূর্তে বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীকে আটকের অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মহানগর পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার রুবাইয়াত জামান বলেন, সকালে ৮টা বা তারও আগে যদি কেউ এখানে এসে দাবি করে, সে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এসেছে, সেটা যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন আছে। কারণ প্রোগ্রাম তো ১১টার পর। সকালে তারা কি করছেন। তাই তাদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়েছি। এটাকে আটক বা গ্রেফতার বলা যাবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলি সফু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।

চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, এই সরকার এত ভীত-সন্তষ্ট যে তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যার কারণে তারা সবকিছুতে বাধা দিচ্ছে, শুধু বাধা নয় দমনমূলক আচরণও করছে।

Advertisement

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা বলেন যে করোনা আমলে অনুমতি দেননা। করোনা আমলে আপনারা পরিবহন খুলে দিয়েছেন, হাটবাজার দোকানপাট খুলে দিয়েছে, শপিংমল খুলে দিয়েছে। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলকে রাজনৈতিক যে কর্মসূচি সেটা পালন করতে দিচ্ছেন না। উদ্দেশ্য একটাই করোনাকাল বলেন আর লকডাউন বলেন, এইভাবে নির্যাতন করে, নিপীড়ন করে তাদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়। বিরোধীদল যেন আবার মাথাউঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। জনগণকে সাথে নিয়ে যেন সরকার পতনের আন্দোলন করতে না পারে তার জন্যই এই দমনমূলক আচরণ করেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

কেএইচ/জেডএইচ/জিকেএস