আফগানিস্তান ইস্যুতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব। বুধবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনে আলাপ হয়েছে। এ সময় তারা আফগানিস্তানের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করেছেন বলে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
Advertisement
গত রোববার (১৫ আগস্ট) আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের মাধ্যমে পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। তারপর থেকেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে, দেশটিতে পরবর্তীতে কী ঘটতে যাচ্ছে? সাধারণ মানুষের মধ্যেও কিছুটা উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশটির পরিস্থিতি শান্ত আছে।
এমনকি তালেবান ক্ষমতা দখলের পরও মেয়েদের স্কুলে যেতে দেখা গেছে, টিভি চ্যানেলে নারীদের সংবাদ উপস্থাপনা করতেও দেখা গেছে। বড় ধরনের কোনো সহিংসতার খবরও সেখানে পাওয়া যায়নি। এমনকি তালেবানের নেতাদের পক্ষ থেকে তাদের যোদ্ধাদের কোনো ধরনের সহিংসতা না করার এবং লোকজনের বাড়ি-ঘরে প্রবেশ না করার আহ্বান জানানো হয়।
নারীসহ অন্যান্য লোকজনকে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরা এমনকি তালেবান সরকারে নারীদের অংশ গ্রহণের আহ্বানও জানিয়েছে তালেবান। তবে নারীদের অবশ্যই হিজাব পরেই সব কাজে অংশ নিতে হবে বলে জানানো হয়। তালেবানের পক্ষ থেকে দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের সেবা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
Advertisement
এদিকে আফগান ইস্যু নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি নিজেদের কৌশলগত সম্পর্ক নিয়েও আলাপ করেছেন সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান তালেবানের শাসনে ছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট সেখানে যৌথ অভিযান চালায়, যার মাধ্যমে তালেবান শাসনের অবসান ঘটে।
অভিযানে আল-কায়েদার শীর্ষ নেতাদের দমন করা হলেও ‘শান্তিরক্ষার স্বার্থে’ সেখানে ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান করছিল পশ্চিমা সেনারা। কিছু বছর পার হওয়ার পর সেখান থেকে ধাপে ধাপে যুক্তরাষ্ট্র বাদে অন্য দেশের সেনাদের ফিরিয়ে নেয়া হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রও তাদের সেনাদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করলে প্রত্যন্ত এলাকা দখল করে থাকা তালেবান কাবুলের মসনদে উঠতে জোর লড়াইয়ে নামে।
টিটিএন/এমকেএইচ
Advertisement