ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার মারলন স্যামুয়েলসের বোলিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ মাসের (এক বছর) জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আইসিসি। ২০১৩ সালের পর দ্বিতীয়বারের মত সন্দেহজনক বোলিংয়ের দায়ে দোষি সাব্যস্ত হন তিনি। এরপর পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখা গেলো অভিযোগ সত্য। ১২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগে কোনভাবেই তিনি আর বোলিংয়ে ফিরতে পারবেন না।২০১৩ সালে সর্বপ্রথম মারলন স্যামুয়েলসকে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য দায়ী করা হয়। ওই সময় একই অভিযোগে বোলিং নিষিদ্ধ করা হয় শেন শিলিংফোর্ডকে। তবে স্যামুয়েলসকে অফস্পিন করতে গিয়ে ‘কুইকার ডেলিভারি’ দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আইসিসি। চলতি বছর অক্টোবরে গলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে তার সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য রিপোর্ট দেন আম্পায়াররা৷ তার ভিত্তিতেই আইসিসির এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে৷ আইসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘আম্পায়ারদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্রিসবেনে স্যামুয়েলসের যে পরীক্ষা হয় তাতে দেখা যায় বল করার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারটির কনুই ১৫ ডিগ্রির তুলনায় বেশি বেঁকে যাচ্ছে৷ যেহেতু প্রথমবার অভিযুক্ত হওয়ার দু’বছরের মধ্যে আবারও একই অভিযোগ হলো তার বিপক্ষে, তাই নিয়মানুযায়ী এক বছরের মধ্যে আর বোলিং করতে পারবেন না স্যামুয়েলস৷’অক্টোবরে সন্দেহজনক বোলিংয়ে অভিযুক্ত হলেও, নভেম্বরে তাকে ওয়ানডেতে বোলিং করার অনুমতি দিয়েছিল আইসিসি। ১৪দিনের জন্য যে অনুমতি পেয়েছিলেন, সেটা ইতিমধ্যে পার হয়ে গেছে। স্যামুয়েলস এ নিয়ে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারেরমত সন্দেহজনক বোলিংয়ের জন্য অভিযুক্ত হলেন। এর আগে ২০০৮ সালের অক্টোবরে ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টের পর তার সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের বিষয়টি ধরা পড়ে।আইএইচএস/পিআর
Advertisement