বলিউডের জনপ্রিয় অভেনেত্রী কিয়ারা আদভানি। তার রূপের জাদু আর অভিনয়ের কারিশমা দেখে মুগ্ধ ভক্তকূল। সম্প্রতি কিয়ারা তারা নতুন ছবি ‘শেরশাহ’ নিয়ে সবার সাধুবাদ ও প্রশংসায় ভাসছেন।
Advertisement
শুধু অভিনয় নয়, তার সৌন্দর্য নিয়েও সবাই প্রশংসা করেন। আকর্ষণীয় ফিগারের পাশাপাশি কিয়ারার দাগহীন উজ্জ্বল ত্বক দেখে সব ভক্তকূলের মনেই প্রশ্ন জাগে, নায়িকার রূপের রহস্য কী?
জানলে অবাক হবেন, কোনো নামিদামি ক্রিম বা প্রসাধনী নয় বরং কিয়ারা রূপের রহস্য হলো রান্নাঘরের কয়েকটি উপাদান। প্রাকৃাতিক উপাদান দিয়েই কিয়ারা তার রূপচর্চা করেন। কিয়ারা তার রূপচর্চার বিষয়ে বেশ সচেতন থাকেন।
ত্বকের যত্নে কিয়ারা ব্যবহার করেন তার মায়ের পরামর্শ অনুযায়ী ঘরোয়া এক টোটকা। বেসন ও ফ্রেশ ক্রিম মিশিয়ে একটি বিশেষ ফেস স্ক্রাব তৈরি করে মুখে ব্যবহার করেন কিয়ারা। এক সাক্ষাৎকারে কিয়ারা জানান, মাসে অন্তত একবার হলেও ঘরোয়া এই স্ক্রাবটি তিনি ত্বকে ব্যবহার করেন।
Advertisement
কীভাবে কিয়ারার বিশেষ এই ফেস স্ক্রাব তৈরি করবেন? এজন্য একটি বাটিতে এক টেবিল চামচ বেসন এবং এক টেবিল চামচ ফ্রেশ ক্রিম মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি আপনার পুরো মুখে ব্যবহার করুন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ধুয়ের ফেলার আগে স্ক্রাব করুন পুরো মুখ। দেখবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে মুহূর্তেই।
কিয়ারা আরও একটি ম্যাজিক ফেসপ্যাক ব্যবহার করে থাকেন। বেসন, দুধ, মধু ও লেবু মিশিয়ে তিনি এই ফেসপ্যাকটি তৈরি করেন। দাগহীন ত্বক পেতে কার্যকরী এক ফেসপ্যাক এটি। এরপর মুখে ব্যবহার করে ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলেন।
তাৎক্ষণিক ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কিয়ারার আরও একটি হ্যাক আছে। তিনি টমেটোর পাল্প বা পেঁপে ব্লেন্ড করে মুখে ব্যবহার করে থাকেন। এই দু’টি উপাদান ত্বকে ব্যবহার করলে দ্রুত উজ্জ্বলতা পাওয়া যায়। চাইলে আপনিও ঘরে চেষ্টা করে দেখতে পারেন এই বিউটি হ্যাক।
রূপচর্চার পাশাপাশি কিয়ারা তার খাবারের বিষয়েও বেশ সচেতন। শরীর এবং ত্বক সুস্থ রাখতে তিনি স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকেন। ফল ও শাক-সবজি প্রচুর পরিমাণে খান তিনি। বাটার, চিনি ও লবণযুক্ত প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবার সবসময় এড়িয়ে চলেন।
Advertisement
কিয়ারা সৌন্দর্য মন্ত্র হলো, সবসময় কাজ করা ও অ্যাক্টিভ থাকা, সঠিক খাদ্যাভাস, প্রচুর পানি পান করা ও শরীরচর্চা করা। চাইলে আপনিও কিয়ারার সৌন্দর্য মন্ত্র মেনে আরও সুস্থ ও সুন্দরভাবে বাঁচতে পারেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এমকেএইচ