নেইমার বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে চলে যাওয়ার পরই ২০১৭ সালে লিভারপুল থেকে কৌতিনহোকে কিনে নিয়ে এসেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু যে আশা এবং ভরসা করে ব্রাজিলিয়ান এই তারকাকে কিনেছিল কাতালানরা, সে আশা আর পূরণ হয়নি। কৌতিনহোর জন্য খেলার জায়গাই খুঁজে বের করতে পারেনি বার্সা।
Advertisement
বরং, মাঝে এক মৌসুম বায়ার্ন মিউনিখকে ধার দিয়েছিল তারা। ওই সময় বায়ার্নের কাছে (কৌতিনহো খেলেছিলেন বায়ার্নের হয়ে) ৮-২ গোলে হেরেছিল বার্সা। এরপর লোনের মেয়াদ শেষ হলে আবারও বার্সায় ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু এসেও নিজেকে ফিট করতে পারেননি। গত মৌসুম পুরোটাই তিনি কাটিয়েছেন বলতে গেলে সাইড বেঞ্চে। মাঝেমধ্যে পরিবর্তিত ফুটবলার হিসেবে মাঠে নেমে নিজের জাত চেনাতেন।
তবুও বার্সা কোচের মন জিততে পারেননি। এবার বার্সার চেষ্টা ছিল কৌতিনহোকে বিক্রি করে দেয়ার। এ নিয়ে নানা ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করে বার্সা। কিন্তু কেউ তাকে আর কিনতে রাজি হয়নি। অন্যদিকে, এবারের মৌসুমে মিডফিল্ডে সবচেয়ে বেশি খরায় ভুগছেন বার্সা কোচ রোনাল্ড কোম্যান। একজন মিডফিল্ডার কিনতে চান তিনি। কিন্তু সেটা অসম্ভব।
শেষ পর্যন্ত বার্সা সিদ্ধান্ত নিলো, কৌতিনহোকে এবার আর বিক্রি করা হবে না। মাদ্রিদভিত্তিক পত্রিকা মার্কার রিপোর্টে বলা হয়েছে, রোনাল্ড কোম্যান এবং বার্সা বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলিপ কৌতিনহোকে তৃতীয়বারের মত সুযোগ দেয়া হচ্ছে যে, তিনি বার্সেলোনার জন্য আর কী করতে পারেন- সেটা দেখানোর জন্য।
Advertisement
তবে কৌতিনহোর সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে- ইনজুরি। এবারও প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে তিনি অংশ নিতে পারেননি ইনজুরির কারণে। যে কারণে বার্সার বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারছেন না। সামনের সময়গুলোতে কী করতে পারেন তিনি, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আইএইচএস/এমএস