সব ধরনের সরকারি কেনাকাটায় ওপেন টেন্ডারের (উন্মুক্ত দরপত্র) ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি দুর্নীতির বিষয়ে কোনো ধরনের সহনশীলতা থাকবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
Advertisement
সচিব সভার বিষয়ে বুধবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কথা জানান।
সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ-এনইসির সম্মেলন কক্ষে সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, অর্থনীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন—সরকারি ব্যয় কমাতে হবে, ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে বিভিন্ন ঋণের প্রবর্তন করতে হবে। যেন ছোট মাঝারি সবার বিনিয়োগ ঠিক থাকে। আর সামাজিক নিরাপত্তা নেটওয়ার্কের কাজ যেন আরও বিস্তৃত করা হয়। যেন গরিব অসহায় মানুষের সুবিধা হয়। মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সব সরকারি কেনাকাটায় ওপেন টেন্ডারের ব্যবস্থা করতে বলেছেন তিনি। ২০২৬ সালের পর কোটামুক্ত বাণিজ্যের সুবিধা কমে গেলে কীভাবে আমরা চলবো, সে বিষয়েও দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেহেতু জিএসপি থাকছে না, এক্ষেত্রে নিজেদেরই সুবিধা তৈরি করতে হবে। যেন বিনিয়োগকারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে বিনিয়োগ করতে পারে।
Advertisement
খন্দকার আনোয়ারুল জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন—যেহেতু ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। সে কারণে করোনাকালে কীভাবে আমাদের চলতে হবে তা অনেকটা রপ্ত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ না হলে হয়তো আমরা এখন এ পরিস্থিতিতে থাকতে পারতাম না। গ্রামে ডিজিটাল সেন্টারগুলো মানুষের সেবা অনেক সহজ করে দিয়েছে। আমরা যে একটা সহনীয় পর্যায়ে এসেছি, তার পেছনে ডিজিটাল বাংলাদেশের অবদান। তথ্য বাতায়ন হালনাগাদ করতে হবে। আমাদের সব কার্যক্রমের সঙ্গে টেকনোলজি সম্পৃক্ত করতে হবে। ইন্টারনেট আরও দ্রুতগতির হতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য বিস্তারিত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কালিয়াকৈরে ডাটা সেন্টার আছে আমাদের, সেটা ব্যবহার করতে সবাইকে বলা হয়েছে এবং যশোরে ব্যাকআপ ডাটা সেন্টার আরও ডেভেলপ করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমাদের যত পরিকল্পনা হবে এডিপি বা ২০৩০ কিংবা ২০৪১ সাল সে অনুয়ায়ী। কারণ ডেমোক্রেটিক সিস্টেমে কোনো রাজনৈতিক দল যে ইশতেহার দেয়, সে অনুযায়ী দেশের উন্নয়ন হয়। তবে কত শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এসডিজি নিয়েও বলা হয়েছে।’
দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন—কোনোভাবে দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। সুতরাং যে ইমোরাল প্র্যা কটিস হয়, মিসইউজ হয়, তা প্রত্যেক সচিবকে দেখতে হবে।’
বিধিনিষেধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, বিস্তারিত আলোচনা করেই বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। ওই বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিবসহ অনেক বিশেষজ্ঞও উপস্থিত ছিলেন। সব বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
Advertisement
আইএইচআর/এইচএ/এএসএম