শিক্ষা

প্রাথমিকে বিস্কুট বিতরণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ল

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিস্কুট বিতরণ সংক্রান্ত প্রকল্পের মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে। নতুন প্রকল্প তৈরির শর্তে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে ‘দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি’ শীর্ষক প্রকল্পটির মেয়াদ। তবে মেয়াদ বাড়লেও বাড়েনি ব্যয়। গত মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) পরিকল্পনা কমিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

Advertisement

এতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণায়ের আওতাভুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি (তৃতীয় সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে দ্বিতীয় বার বাস্তবায়ন মেয়াদ চলতি বছরের জুলাই হতে ডিসেম্বর পযন্ত আইএমইডির শর্ত পালনসাপেক্ষে নির্দেশক্রমে বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পের উদ্বৃত্ত টাকা দিয়ে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিকের ৩০ লাখ শিক্ষার্থীদের উচ্চ পুষ্টিমানের বিস্কুট বিতরণ করা হবে।

শর্ত হিসেবে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম পর্যালোচনা করে একটি কার্যকর মডেল নির্ধারণ এবং ব্যয় প্রাক্কলনের ফলাফল যাচাই করে নতুন প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়নের কাজ বর্ধিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে আইএমইডিকে (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ) অবহিত করতে বলা হয়েছে।

দুই মাস আগে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি চেয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাতে সম্মতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ নামে সম্পূর্ণ একটি প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) সংশোধনের নির্দেশনা দেয়া হয়।

Advertisement

এরপর গত ১ জুন একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী ‘প্রাইমারি স্কুল মিল প্রকল্প’র অনুমোদন না দিয়ে ডিপিপি সংশোধনের প্রস্তাব দেন। নতুন প্রকল্প অনুমোদন না হওয়ার মধ্যেই আগে থেকে চলতে থাকা প্রকল্পের মেয়াদ গত ৩০ জুন শেষ হয়ে যায়। নতুন প্রকল্পের ডিপিপি সংশোধন করতে এক বছর সময় লাগবে বিধায় আগের প্রকল্পের সুবিধাভোগী ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর অপুষ্টি ও ঝরে পড়ার আশঙ্কায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) ব্যয় না বাড়িয়ে আরও এক বছর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হলে যৌক্তিকতা তুলে ধরে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠাতে হয়। কমিশন প্রস্তাব যাচাই বাছাই করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ায়।

দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের অধীনে ২০১০ সাল থেকে দেশের দারিদ্র্যপীড়িত ১০৪টি উপজেলায় প্রতিদিন ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে ৭৫ গ্রামের এক প্যাকেট বিস্কুট দেয়া হচ্ছে। বিস্কুট থেকে একজন শিক্ষার্থী প্রতিদিন ৩৩৮ কিলো ক্যালরি শক্তি পায়।

প্রকল্পটি প্রথম দফায় ২০১০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়। পরবর্তী সময়ে প্রকল্প সংশোধন করে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ১৪২ কোটি ৭৯ লাখ ৯১ হাজার টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৫৯৭ কোটি ৭০ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ও প্রকল্প সাহায্য ৫৪৫ কোটি ৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।

Advertisement

এমএইচএম/এইচএ/এএসএম