এমপিদের কাছে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা পৌঁছে দেয়ার জন্য জাতীয় সংসদকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু চিঠির সঙ্গে মাত্র একটি আচরণ বিধিমালা সংযুক্ত করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছে সংসদ। বার বার সংসদ থেকে ফোন করা হলেও ইসিও বাড়তি বিধিমালা দিচ্ছে না। তাই ৩৫০ জন এমপির কাছে কিভাবে ওই বিধিমালা পৌঁছে দেবে তা নিয়ে সংসদ কর্মকর্তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, ৬ ডিসেম্বর সব এমপির কাছে পাঠানোর জন্য সংসদের আইন শাখায়-২ এ চিঠি দেয় ইসি। সঙ্গে একটি আচরণ বিধিমালাও সংযুক্ত করা হয়। এ কয়দিন ফাইল চালাচালির সময় ইতোমধ্যেই ওই আচরণ বিধিও প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। সোমবার দুপুরে সংসদের সিনিয়র সচিব আশরাফুল মকবুল ওই ফাইলের অনুমোদন দেন। কিন্তু সাড়ে তিনশ’ এমপির মধ্যে কিভাবে একটি বিধিমালা বিলি করা হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি তিনি। এ কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিপাকে পড়েছেন। ৩৫০টি বিধিমালা দেয়ার জন্য বার বার ফোন করলেও ইসি জানায় তাদের কাছে বাড়তি কোনো কপি নেই। পরে ফটোকপি করার সিদ্ধান্ত নেয় সংসদ। কিন্তু নষ্ট হয়ে যাওয়া ওই কপি থেকে ফটোকপিও করা সম্ভব নয়। তাছাড়া ফটোকপি করে দিলে এমপিরা সেটা ভালভাবে নাও নিতে পারেন। এজন্য আচরণবিধি বিলি করতে পারছে না সংসদ। এর আগে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য তিনজন এমপিকে তিন দিনের সময় দিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। ইসির শো-কজ নোটিশের জবাবে ক্ষমতাসীন দলের এমপি ঢাকা-২০ আসনের এম এ মালেক, নাটোর-২ আসনের সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল ও বরগুনা-২ আসনের শওকত হাচানুর রহমান রিমন দুঃখপ্রকাশ করেন। কিন্তু অনেক জায়গায় মন্ত্রীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও ইসি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৬ মাসের কারাদণ্ডের সুযোগ আছে। এছাড়া প্রার্থিতাও বাতিলের বিধান আছে। আসন্ন পৌর নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন ৭ জন মেয়রপ্রার্থী। এরা সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এসব নির্বাচনী এলাকার মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৯২১ জন মেয়র প্রার্থী। আর পৌর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত ১৬২ জন মেয়র প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন। এখন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ৯২১ জন। এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের ২৩৩ জন, বিএনপির ২১৯ জন এবং জাতীয় পার্টির ৭৩ জন। বাকি প্রতিদ্বন্দ্বীরা হচ্ছেন- স্বতন্ত্র ও নির্বাচনে অংশ নেয়া বাকি এক ডজন রাজনৈতিক দলের।এইচএস/এসএইচএস/একে/আরআইপি
Advertisement