আন্তর্জাতিক

কাবুলের বিভিন্ন স্থানে তালেবানের তল্লাশি পোস্ট

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর শহরজুড়ে তল্লাশি পোস্ট বসিয়েছে তালেবান। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পুরো শহরের নিয়ন্ত্রণ এখন তালেবানের হাতে। এমনকি বিমানবন্দরে প্রবেশের সবগুলো মুখেই তাদের পাহারা রয়েছে। ফলে যেসব আফগান দেশ ছাড়তে চান, তাদের এসব তল্লাশি পোস্ট পার হয়ে যেতে হচ্ছে।

Advertisement

শহরের রাস্তাঘাট ফাঁকা, খুব একটা গাড়ি চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না। মানুষজন আতঙ্কিত এবং যেকোনো সময় কিছু একটা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। তাই সবাই ঘরের ভেতরেই থাকছেন। শহরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে তালেবান, এমনকি যান চলাচল ব্যবস্থারও। তাদের সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে, প্রতিটা মোড়ে তারা দাঁড়িয়ে আছে। তারা যে শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেটা তারা নিশ্চিত করছে।

এদিকে তালেবান সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা শহরের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে। রোববার (১৫ আগস্ট) তালেবান আফগানিস্তান দখরের পর থেকেই লোকজনের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। সামনের দিনগুলোতে কী ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়েই যেন জল্পনা শেষ হচ্ছে না। এরই মধ্যে লোকজন দলে দলে আফগানিস্তান থেকে পালানোর চেষ্টা করছে। তালেবানের পক্ষ থেকে বার বার লোকজনকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং তারা দেশের জনগণের সেবায় কাজ করবে।

এরইমধ্যে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কারণে নির্বাসিত তালেবান নেতারা দেশে ফিরেছেন। প্রায় ১০ বছর নির্বাসন শেষে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দেশে ফিরেছেন তালেবানের শীর্ষ নেতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। কাবুলের বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাকে তালেবান সদস্যরা স্বাগত জানান। পরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। তিনি বলেন, বারাদারসহ অন্য নেতারা দেশে ফিরেছেন।

Advertisement

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান তালেবানের শাসনে ছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট সেখানে যৌথ অভিযান চালায়, যার মাধ্যমে তালেবান শাসনের অবসান ঘটে।

অভিযানে আল-কায়েদার শীর্ষ নেতাদের দমন করা হলেও ‘শান্তিরক্ষার স্বার্থে’ সেখানে ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান করছিল পশ্চিমা সেনারা। কিছু বছর পার হওয়ার পর সেখান থেকে ধাপে ধাপে যুক্তরাষ্ট্র বাদে অন্য দেশের সেনাদের ফিরিয়ে নেয়া হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রও তাদের সেনাদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করলে প্রত্যন্ত এলাকা দখল করে থাকা তালেবান কাবুলের মসনদে উঠতে জোর লড়াইয়ে নামে।

টিটিএন/এমকেএইচ

Advertisement