বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র, হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে সরকারি প্রজ্ঞাপনে নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলতে হবে। এর কোনো ব্যত্যয় প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পর্যটন শিল্পসংশ্লিষ্ট উপ-খাতসমূহ পরিচালনার জন্য করণীয় নির্ধারণ সম্পর্কিত এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের পর্যটন গন্তব্যসমূহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পর্যটকদের উদ্বুদ্ধ করতে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। সবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পর্যটকদের সচেতন করতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক, স্কাউটসহ অন্য অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জীবিকা ও অর্থনীতির কথা চিন্তা করে পর্যটন গন্তব্যসমূহ খুলে দেয়া হয়েছে। এতে কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছে। এমন কোনো কাজ করা যাবে না যাতে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে আবার এই খাত বন্ধ হয়ে যায়। হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো সরকারের নির্দেশনা সঠিকভাবে পরিপালন করছে কিনা স্থানীয় প্রশাসন সেটি শক্তভাবে মনিটরিং করবে।
Advertisement
আলোচনা শেষে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসন থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা, হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো সরকারের বিধি উপেক্ষা করে ৫০ শতাংশের বেশি আবাসনের ব্যবস্থা করছে কিনা তা নিয়মিত মনিটরিং, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পর্যটন খাতসংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে নিয়মিত পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও পরিবীক্ষণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডপ্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন।
এছাড়াও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হান্নান মিয়া, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক আতাউর রহমান, টোয়াব সভাপতি, টুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, খুলনা,বাগেরহাট, কিশোরগঞ্জ, সিলেট ও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকরা। পর্যটন সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা সভায় যুক্ত ছিলেন।
এমইউ/এমআরএম/এএসএম
Advertisement