সারাদেশে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আর্থিক সেবা প্রদান করবে ব্যাংক এশিয়া। পোস্টাল আউটলেট ব্যবহার করেই সেবাটি আসবে। সেখানে বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানো, প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষিঋণ, বিভিন্ন ডিপোজিট রাখা, এফডিআর, হিসাব খোলা ইত্যাদি সেবাও থাকবে। ধীরে ধীরে অন্তর্ভুক্ত হবে ইন্স্যুরেন্স, ই-কমার্স সেবা।
Advertisement
এজন্য আন্তর্জাতিক পেমেন্ট কমিউনিটি ইউরোগিরোর সঙ্গে চুক্তি করবে। ইউরোগিরো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পোস্ট ব্যাংক, ডাক সংস্থা এবং পেমেন্ট পরিষেবা প্রদান করে আসছে। ইউরোগিরোর মাধ্যমে পোস্ট অফিস পয়েন্টগুলোকে গ্লোবাল পোস্ট অফিস নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে।
এর ফলে সারা বিশ্ব থেকে পোস্ট অফিস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সহজেই রেমিট্যান্স আসবে। বৃহত্তম ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক গড়তে লোকবল নিয়োগের কথাও ভাবছে ব্যাংটি। এর মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া তৃণমূল এলাকাও আসবে ব্যাংকিংয়ের আওতায়।
ইউরোগিরোর এই পরিষেবায় গ্রাহকরা একটি মোবাইল অ্যাপ পাবেন। অ্যাপটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রেরক এবং প্রাপক উভয়পক্ষই সরাসরি পোস্ট অফিস নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারবেন। ফলে তাদের আর তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো বা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করার প্রয়োজন পড়বে না।
Advertisement
এছাড়া মোবাইল অ্যাপটি ব্যবহার করে প্রেরক ও প্রাপক অর্থ লেনদেনের পাশাপাশি তথ্যও আদানপ্রদান করতে পারবেন।
ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক এশিয়াকে পোস্ট অফিস ব্যাংকিং সেবা চালুর অনুমতি দিয়েছে। অন্যদিকে ব্যাংক এশিয়া, বাংলাদেশ পোস্ট অফিস এবং ইউরোগিরোর চুক্তি স্বাক্ষরও প্রক্রিয়াধীন। প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে বিশ্বের পাঁচ লাখের বেশি ইউরোগিরোর শাখা পোস্ট অফিস-ব্যাংক এশিয়ার নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।
এ বিষয়ে ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আরফান আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘একসময় এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করেছিলাম, সেটা এখন একটা জায়গায় দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ১৫-১৬ হাজার এজেন্ট আছে দেশে, ২০ হাজার কোটি টাকার ওপরে ডিপোজিট। ২৫ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট হয়েছে, জুন মাসের হিসাবে আরও বড় পরিবর্তন এসেছে। এটার ধারাবাহিকতায় পোস্ট অফিসের মতো ২০০ বছরের পুরনো ইনস্টিউটিশন, যেটার প্রচলিত কাজ সেভাবে আর নাই। এখন সেটা ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে, তারা ডিজিটাল মানি ইস্যু করে। আরও অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ই-কমার্সের কাজ করে। আমরা ব্যাংকিং সার্ভিসটাও ডিজিটাল উদ্যোক্তারা যারা আছেন, তাদের ওপর ভর করেই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মতো করে আমরা এগোচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘এতে করে পোস্ট অফিস-ব্যাংক এশিয়া জয়েন্ট ব্র্যান্ডিং হবে। একসঙ্গে পোস্ট অফিসের সেবাও পাওয়া যাবে আবার ব্যাংক এশিয়ার সেবাও পাওয়া যাবে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান থাকবে, বিপরীত কিছু হবে না। সেখানে আসলে রেমিট্যান্সের মতো বড় কাজ, কৃষিঋণ, বিভিন্ন ডিপোজিট রাখা, এফডিআর, হিসাব খোলা ইত্যাদি সেবা থাকবে। তাছাড়া ইন্স্যুরেন্সের বিষয়টাও একসময় আসবে, ই-কমার্স আসবে।’
Advertisement
ব্যাংক এশিয়ার এমডি বলেন, ‘সব আমাদের মধ্যে আছে। ইউরোগিরোর মাধ্যমে পোস্ট অফিস পয়েন্টগুলোকে গ্লোবাল পোস্ট অফিস নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করবে। এর ফলে সারা বিশ্ব থেকে পোস্ট অফিস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সহজেই রেমিট্যান্স আসবে।’
ইএআর/এমএইচআর/জেআইএম