একদিনের ট্যুরে অনেকেই ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুরে রওনা হন। চাঁদপুর জেলা পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত। বিশেষ করে নদীপথে চাঁদপুর ভ্রমণ বেশি আনন্দদায়ক হয়ে থাকে।
Advertisement
লঞ্চে চেপে নদীপথে অনেকেই উপভোগ কনে চাঁদপুর ভ্রমণ। তবে চাঁদপুর পৌঁছে শুধু ইলিশ মাছ আর ভাত খেয়েই ফিরে না এসে বরং ঘুরে আসতে পারেন সেখানকার দর্শনীয় বিভিন্ন স্থানে।
চাঁদপুর জেলার দর্শনীয় জায়গাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বড়স্টেশন মোলহেড বা তিন নদীর মোহনা, অঙ্গীকার স্মৃতিসৌধ, রক্তধারা স্মৃতিসৌধ, ইলিশ চত্বর, ডিসির বাংলো, পর্তুগীজ দুর্গ, রূপসা জমিদার বাড়ি, মঠখোলার মঠ, বোয়ালিয়া জমিদার বাড়ি।
আরও ঘুরতে পারেন জেলা প্রশাসকের বাংলোয় নাগলিঙ্গম গাছ, নয়টি ভাস্কর্য, প্রাচীন ও প্রত্নসম্পদ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন, চিড়িয়াখানা, মৎস্য জাদুঘর, বোটানিকাল গার্ডেন, শিশু পার্ক, হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ, মেঘনা-পদ্মার চর, ফাইভ স্টার পার্ক, গুরুর চর থেকে।
Advertisement
হাতে সময় থাকলে চাঁদপুর সদর থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে রূপসা জমিদার বাড়ি থেকে ঘুরে আসতে পারেন। ফরিদগঞ্জ উপজেলায় এই জমিদারবাড়ির অবস্থান। চাঁদপুর সদর থেকে ৪০০-৫০০ টাকা ভাড়ায় রিজার্ভ সিএনজি নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন ঐতিহাসিকিএই জমিদারবাড়ি থেকে।
আরও দেখতে পারেন মিনি কক্সবাজার। বর্তমানে ছোট্ট এই কক্সবাজারে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। চাঁদপুরের মিনি কক্সবাজার খ্যাত স্থানটি হলো হাইমচর। বড় স্টেশনের কাছ থেকে ট্রলারে জনপ্রতি ৮০-১০০ টাকার ভাড়ায় ঘুরে আসতে পারবেন হাইমচরে।
এ ছাড়াও যারা সাইক্লিং করতে পছন্দ করেন, চাঁদপুরের যেকোনো গ্রামের সরু পথে কিছুটা সময় পকৃতির সঙ্গে কাটাতে পারবেন। আর সেই সুযোগে সাইক্লিং করেও নিতে পারবেন। গ্রামের আঁকাবাঁকা পথ ধরে সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার রোমাঞ্চকর অনুভূতি পেতে অনেক পর্যটকরাই এমন সুযোগ খোঁজেন।
যেভাবে যাবেন
Advertisement
ঢাকার সদরঘাট থেকে চাঁদপুরগামী লঞ্চে চড়ে যাওয়া যায়। এ ছাড়াও সায়েদাবাদ থেকে বাসযোগে চাঁদপুর যাওয়া যায়। কমলাপুর থেকে ট্রেনে লাকসাম নেমে সেখান থেকে চাঁদপুরে যাওয়া যায়। তবে লঞ্চে যাওয়ার মজাই আলাদা।
কোথায় থাকবেন?
চাঁদপুরে বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল এবং বোর্ডিং আছে। তবে থাকার ক্ষেত্রে ভাড়া এবং অন্যান্য বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া ভালো।
ফিরে আসবেন যেভাবে
অনেকেই একদিনেই চাঁদপুর ভ্রমণ শেষ করে রাতে ফিরে আসেন। এজন্য আবারও চাইলে লঞ্চপথে ফিরে আসতে পারেন। বিকেল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুর থেকে ঢাকায় আসার লঞ্চ পেয়ে যাবেন।
জেএমএস/জিকেএস