খেলাধুলা

ই-অরেঞ্জের সঙ্গে আমি এখন নেই : মাশরাফি

দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ শপের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেটার দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে তার চুক্তি শেষ হয়েছে। তিনি এখন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে নেই বলে জানিয়েছেন।

Advertisement

সোমবার (১৬ আগস্ট) রাতে ই-অরেঞ্জ শপের গ্রাহকরা রাজধানীর মিরপুরে মাশরাফির বাসার সামনে বিক্ষোভ করলে তিনি এই কথা জানান।

মাশরাফি বলেন, ‘ই-অরেঞ্জের সঙ্গে আমার ছয় মাসের চুক্তি ছিল। সেটা শেষ হয়েছে। আমি এখন এটির সঙ্গে নেই। তবুও একজন গ্রাহক বলছে, তাদের পাশে আমাকে থাকতে হবে। আইনগত জায়গায় খুব বেশি কিছু করার নেই। তবুও সাধারণ মানুষের কারণে কথা বলেছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, তাদের পাশে দাঁড়াব।’

ই-অরেঞ্জ শপের বিরুদ্ধে কোটি টাকার অর্ডার নিয়ে পণ্য ডেলিভারি না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর সেই টাকা ও পণ্যের দাবিতে মাশরাফি বিন মর্তুজার বাসার সামনে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগীরা।

Advertisement

এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আমানউল্লাহ সাহেব যিনি এটার সিইও, উনার সঙ্গে ভুক্তভোগীদের সামনে লাউড স্পিকারে কথা বলেছি। উনি বলেছে, তাদের মালিকানা চেঞ্জ হয়েছে, তাই তারা সময় মতো ডেলিভারি দিতে পারেনি। ১৯ তারিখ থেকে তারা পর্যায়ক্রমে ডেলিভারি দেয়া শুরু করবে। তবে আমি ভুক্তভোগীদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত আছি।’

মিরপুর বাংলা কলেজের ছাত্র নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা কয়েকজন মোহাম্মদপুর থেকে এসেছি। আমাদের সবার বাইকের অর্ডার দেয়া আছে ই-অরেঞ্জে। গত জুন মাসে অর্ডার করছি, কিন্তু জুলাই, আগস্ট করে তিন মাসেও বাইক পাইনি।’

তিনি বলেন, ‘মাশরাফি ভাই আন্তরিক হয়ে সব কথা শুনেছেন। তিনি আমাদের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা তার সাপোর্ট চাই, যাতে করে কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হই।’

এদিকে মাশরাফির বাসার সামনে খবর সংগ্রহ করতে গেলে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন সাংবাদিক।

Advertisement

নিউজ হান্টের সাংবাদিক অমৃত মলঙ্গী জাগো নিউজকে বলেন, ‘লাইভ করার জন্য ক্যামেরা অন করার সঙ্গে সঙ্গেই কিছু লোক অতর্কিত হামলা চালায় আমার ওপর। আরও একজন সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়। পরে মাশরাফির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন উনার লোকজন কাউকে আঘাত করেনি।’

এসএম/জেডএইচ/