টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার ও লাইকিসহ অনলাইনভিত্তিক ক্ষতিকর অ্যাপস বন্ধ বা অপসারণ সম্পর্কে হাইকোর্টের নির্দেশের বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, ‘আগে তো হাইকোর্টের নির্দেশনা পাই, পত্রিকার নির্দেশনা নিয়ে তো আমরা বন্ধ করতে পারব না।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘নির্দেশ পেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কাজ করবে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এ দেশে তো কেউ আর চলতে পারে না। সুতরাং আইন অমান্য করার কোনো সুযোগ নাই। আদালতের নির্দেশ পেলে বিটিআরসি পালন করবে।’
সোমবার (১৬ আগস্ট) জাগো নিউজকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক মন্ত্রণালয়কেই নির্দেশনা দিয়েছেন। আমার মন্ত্রণালয়ে আসুক। আমাদের একটি টেকলোজি আছে, বাংলাদেশে দেখা যাবে না এমন ওয়েবসাইট আমরা বন্ধ করে দিতে পারি। নিউজের মাধ্যমে দেখলাম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ডিএসএ বা ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সিসহ অনেককেই নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। তারা কি ভূমিকা নেয়…। তবে বিটিআরসিকে দেয়া নির্দেশটা পরিষ্কার না। নির্দেশ পেলে বিটিআরসি কাজ করবে।’
Advertisement
এগুলো আসলেই বন্ধ করা যায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই জায়গাগুলো তো আবার আদালত বোঝার কথা না। আমরা বন্ধ করে দিতে পারব। কিন্তু যারা ভিপিএন দিয়ে ব্যবহার করছে চায়, তারা ব্যবহার করতে পারবে। সেটা বন্ধ করার সক্ষমতা কারো নাই।’
এর আগে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম ও লাইকিসহ এ ধরনের অনলাইনভিত্তিক ক্ষতিকর সব ধরনের অ্যাপ অপসারণ এবং লিংক অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম তথা লাইকির মতো সব ধরনের অনলাইন গেম এবং অ্যাপস বন্ধের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।
Advertisement
সোমবার (১৬ আগস্ট ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেন।
এইচএস/এমএইচআর/এএসএম