আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবার একদিন পর শহরের রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পড়েছে। শহরের অসংখ্য কার্পেট আর গহনার দোকানগুলোর পাশাপাশি ছোট ছোট ক্যাফেও বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দোকানের মালামাল রক্ষা করার জন্য তারা এই ব্যবস্থা নিয়েছেন। অনেকের মধ্যে এই চিন্তাও রয়েছে যে, তাদের পরবর্তী গ্রাহক কোথা থেকে আসবে।
Advertisement
এক দোকান মালিক রয়টার্সকে বলেন, আমি পুরোপুরি শোকের মধ্যে আছি। শহরে তালেবানের প্রবেশ আমাকে ভীত করে তুলেছে, কিন্তু আমাদের সবাইকে গানির (প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি) ছেড়ে চলে যাওয়া পরিস্থিতিকে সবচেয়ে বেশি খারাপ করে তুলেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সরকারি অফিসগুলো খালি পড়ে রয়েছে। কূটনীতিক আর তাদের পরিবারের সদস্যরা চলে যাওয়ায় কাবুলের দূতাবাস এলাকা পুরোপুরি জনশূন্য হয়ে পড়ছে।
তালেবান অবশ্য ঘোষণা দিয়েছে যে, সাধারণ মানুষ তাদের প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ড খুব তাড়াতাড়ি শুরু করতে পারবেন। তালেবানের এক নেতা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, সাধারণ জীবনযাত্রা আগের তুলনায় আরও ভালোভাবে চলবে।
Advertisement
তালেবান আফগানিস্তান দখল করে নেয়ার পর থেকেই সেখানকার সাধারণ মানুষের মনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। পরবর্তীতে কী হতে যাচ্ছে তা নিয়েই ভাবনার শেষ নেই। এর মধ্যেই জাতির উদ্দেশে দেয়া একটি ভিডিও বার্তায় তালেবানের উপ-প্রধান নেতা মোল্লা বারাদার আখুন্দ বলেছেন, এখন সময় হয়েছে আফগানিস্তানের মানুষের সেবা আর তাদের জীবনমান উন্নয়ন করার।
কাবুল দখল ও বিজয় ঘোষণার একদিন পরে তালেবানের পক্ষ থেকে নতুন এই ভিডিও বার্তা প্রচার করা হলো। সেখানে তালেবানের উপ-প্রধান বলেন, ‘আমাদের জাতিকে আমরা সবচেয়ে ভালো সেবা দেবো, পুরো জাতির জন্য প্রশান্তি নিয়ে আসব, তাদের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য যতদূর যা করা দরকার, আমরা তাই করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেভাবে আমাদের এখানে আসতে হয়েছে, তা কাঙ্ক্ষিত ছিল না। সেই সঙ্গে আজ আমরা যে অবস্থানে পৌঁছেছি, তাও কেউ ভাবেনি।’
টিটিএন/এমকেএইচ
Advertisement