আন্তর্জাতিক

তালেবানদের হাতে শুরু হলো আফগানদের দিন

টানা তিন দিন ধরে নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের কাবুল নিয়ন্ত্রণে নিল সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। তালেবানের মুখপাত্র আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন এরইমধ্যে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তাদের সেনা আর দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ করার কথা জানিয়েছে। ফলে এক ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার দিন শুরু হলো আফগানিস্তানে।

Advertisement

দেশের পরিস্থিতি খুব একটা শান্ত এখনও হয়নি। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মন্তব্য করছেন তালেবানের পুনরায় ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে।

তালেবানদের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার পর প্রথম দিন মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার একটি ছবি টুইট করেছেন একজন আফগান। এটি একটি অস্বাভাবিক পরিবর্তন বটে, তবে তালেবানের শাসনকালে নারী স্বাধীনতা কতটুকু থাকে সেটাই প্রশ্ন।

যদিও তালেবান নেতারা এরইমধ্যে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন আফগানদের সবধরনের অধিকার রক্ষায়। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এতো দ্রুত তাদের বিশ্বাস করা ঠিক হবে না।

Advertisement

২০ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর পরই তালেবান ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা শুরু করে। আর তখন থেকেই আফগানদের শঙ্কা তালেবান ক্ষমতায় গেলে তারা কি আদৌ তাদের কন্যা সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারবে?

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান তালেবানের শাসনে ছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট সেখানে যৌথ অভিযান চালায়, যার মাধ্যমে তালেবান শাসনের অবসান ঘটে।

অভিযানে আল-কায়েদার শীর্ষ নেতাদের দমন করা হলেও ‘শান্তিরক্ষার স্বার্থে’ সেখানে ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান করছিল পশ্চিমা সেনারা। কিছু বছর পার হওয়ার পর সেখান থেকে ধাপে ধাপে যুক্তরাষ্ট্র বাদে অন্য দেশের সেনাদের ফিরিয়ে নেয়া হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রও তাদের সেনাদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করলে প্রত্যন্ত এলাকা দখল করে থাকা তালেবান কাবুলের ক্ষমতার মসনদে উঠতে জোর লড়াইয়ে নামে। যদিও এর মধ্যে তালেবানের সঙ্গে কাবুলের শাসকগোষ্ঠীর সংঘাতের অবসানে কাতারসহ বিভিন্ন পক্ষের মধ্যস্থতায় নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সব আলোচনাই ভেস্তে গেছে।

সূত্র: বিবিসি

Advertisement

এসএনআর/এমকেএইচ