জাতীয়

‘স্বাধীনতাবিরোধী-ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোর হাতে দমন করা হবে’

দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র সর্বদা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। স্বাধীনতাবিরোধী ও ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।

Advertisement

রোববার (১৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সমাজসেবা অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আরমা দত্ত ও সমাজকল্যাণ সচিব মাহফুজা আখতার।

মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধীরা স্বাধীনতার পর থেকেই কীভাবে দেশকে অকার্যকর করা যায় সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তারা দেশ থেকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। সাময়িকভাবে তাদের এ ষড়যন্ত্র কিছুটা সফল হলেও বাস্তবে তা সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ২১ বছর পর এ দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনে ষড়যন্ত্রকারীদের অপচেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে।’

Advertisement

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সফলতা অর্জন করেছেন। টানা তিনবার দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার দিয়ে জনগণ প্রমাণ করেছে, এ দেশে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই। তিনি একের পর এক অসম্ভকে সম্ভব করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন কৃষক, শ্রমিক জনতাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষদের নিয়ে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন, তখনই স্বাধীনতাবিরোধীদের চক্রান্তে তিনি শহীদ হন। ১৯৭৫ পরবর্তী ২১ বছর স্বৈরাচারী শাসকরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশকে শাসনের নামে ধ্বংস করার চেষ্টা করে গেছে।’

পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্ট শাহাদতবরণকারীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

আইএইচআর/এমএইচআর/জেআইএম

Advertisement