দেশজুড়ে

কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু রক্ষা বাঁধে ফের ধস

প্রায় ১০ মাস পর আবারো সদর উপজেলার শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু রক্ষা বাঁধে ধস নেমেছে। রোববার (১৫ আগস্ট) ভোরের দিকে হাটশ হরিপুর এলাকায় বাঁধের প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ মিটার ব্লক গড়াই নদীর গর্ভে চলে যায়। কুষ্টিয়া এলজিইডির (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদুর রহমান মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধসে পড়া স্থানের পাশেই বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি রয়েছে। তবে ধসে পড়া স্থান থেকে শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুর দূরত্ব প্রায় ১৫০ মিটার। কুষ্টিয়া শহরের একেবারে গা ঘেঁষে হরিপুর ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নকে শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করতে ২০১৭ সালে গড়াই নদীর ওপর শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি ওই বছরের ২৪ মার্চ উদ্বোধন করা হয়। সেতুটি রক্ষার জন্য উভয় পাশে ব্লক দিয়ে বাঁধও তৈরি করা হয়। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ৭৮ কোটি টাকা। আর সেতুর উভয় পাশের ৪১০ মিটার ব্লক বাঁধ নির্মাণে ব্যয় হয় আরও প্রায় ১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে হরিপুর অংশে সেতুর পশ্চিম ও পূর্ব পাশে অন্তত ৩০০ মিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। তবে নির্মাণের চার বছর পর বাঁধে ধসের সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর একই জায়গায় বাঁধের প্রায় ৩০ মিটার ব্লক গড়াই নদীতে তলিয়ে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় বছর খানেক আগে থেকেই নদীর এ স্থানটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বিষয়টি বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ধসের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে সেতুটি।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফছার উদ্দিন জানান, প্রায় ১০ মাস আগে একই জায়গায় বাঁধটিতে ধসের সৃষ্টি হয়েছিল। আবারো একই জায়গায় ধসের সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

কুষ্টিয়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদুর রহমান মণ্ডল জানান, প্রথম দফায় গত বছরের ১০ অক্টোবর ধস নামার পর দুটি অংশ মেরামতের জন্য এলজিইডির পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে প্রায় ৩২ লাখ টাকা অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আজও পর্যন্ত অনুমোদন মেলেনি।

তিনি আরও বলেন, ব্রিজ নির্মাণ করার দায়িত্ব এলজিইডির। কিন্তু এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের। তাদেরকে এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুটি যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আল-মামুন সাগর/এসআর/এএসএম

Advertisement