জাতীয়

বিধিনিষেধ নেই, স্বাস্থ্যবিধিও নেই

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও মৃ্ত্যুরোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ (লকডাউন) উঠে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে গেছে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতাও। বিশেষ করে গণপরিবহনগুলোর চালক-সহকারী থেকে শুরু করে অনেক যাত্রীও স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখাচ্ছেন। এতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Advertisement

বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর গত ১১ আগস্ট থেকে বাসসহ বিভিন্ন গণপরিবহন চালু হয়েছে। স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, মাসাধিককাল বিধিনিষেধের সুফল হিসেবে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা কমেছে সম্প্রতি। এ বিধিনিষেধের শুরুর দিকে সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশে পৌঁছে গেলেও সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায়ই তা ২০ দশমিক ৬৬ শতাংশে নেমে এসেছে। মৃতের সংখ্যাও নেমেছে দুইশ’র নিচে, যা টানা ১৯ দিন দুইশ’র ওপরে ছিল।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘরের বাইরে বের হওয়া শতভাগ মানুষ মুখে মাস্ক পরিধানসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি, যেমন ঘন ঘন হাত ধৌত করা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, জনসমাবেশ ও জনসমাগম এড়িয়ে চলা ইত্যাদি মেনে না চললে সংক্রমণ ও মৃত্যু ফের বেড়ে যেতে পারে।

রোববার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট, বিশেষ করে গণপরিবহন স্টপেজ ঘুরে দেখা যায়, অসংখ্য লোক মাস্ক ছাড়াই রাস্তায় অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে চা-সিগারেট খাচ্ছেন, সদলবলে আড্ডা মারছেন।

Advertisement

গণপরিবহনগুলোর চালক ও সহকারীদের অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক নেই। আর মাস্ক থাকলে তা অনেকের থুতনির নিচে বা কানের পাশে ঝুলছে। বিভিন্ন বাসের ড্রাইভারকে মাস্ক খুলে সিগারেট ফুঁকতেও দেখা যায়। শুধু বাসচালক ও হেলপারই নন, যাত্রীদেরও অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। অবশ্য ক্যামেরা দেখে মুখে মাস্ক পরে নেন চালক-হেলপাররা। গণপরিবহনে যাত্রী তোলার আগে জীবাণুনাশক স্প্রে দেয়ার কথা থাকলেও এমন কিছু ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।

বেশ কয়েকজন বাসচালক ও সহকারী এবং যাত্রীর সঙ্গে আলাপকালে সঠিকভাবে মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে বেশিরভাগই জবাব দেন, গরমে বেশিক্ষণ মাস্ক পরে থাকলে তাদের দম বন্ধ হয়ে আসে। তাই মাঝে মাঝে মাস্ক নামিয়ে অক্সিজেন নেন তারা।

এমইউ/এইচএ/এএসএম

Advertisement