আন্তর্জাতিক

কাবুলে গোলাগুলির শব্দ, পতাকা হাতে সড়কে তালেবানের অবস্থান

আফগানিস্তানের প্রায় সবগুলো বড় শহরই এখন তালেবানের দখলে। এখন শুধু রাজধানী কাবুল দখলের অপেক্ষায় তালেবান যোদ্ধারা। এর মধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, কাবুল থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সড়কে পতাকা হাতে তালেবান যোদ্ধাদের দেখা গেছে।

Advertisement

রোববার সকাল থেকেই কাবুলের পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। বেলা বাড়তে শুরু করার পরপরই চারদিক থেকে কাবুলে ঢুকতে শুরু করে তালেবান যোদ্ধারা। তালেবানের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তারা তাদের যোদ্ধাদের রাজধানীর প্রবেশপথে বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছে।

তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জোর করে রাজধানী কাবুল দখলের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর এক নেতার বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যারা আফগানিস্তান ছেড়ে যেতে চাচ্ছেন তাদের নিরাপদে যেতে দিতে যোদ্ধাদের নির্দেশ দিয়েছে তালেবান।

এছাড়া রাজধানীতে সহিংসতা চালানো থেকে বিরত থাকতেও তালেবান তাদের যোদ্ধাদের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে। তালেবানের ওই নেতা জানিয়েছেন, নারীদের সুরক্ষিত এলাকায় যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

Advertisement

‘কাবুলের পরিস্থিতি এখনো আফগান সরকারের নিয়ন্ত্রণে’ বলে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির টুইটের পরপরই তালেবান যোদ্ধারা কাবুলের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। এর আগে দ্রুতগতিতে প্রায় পুরো আফগানিস্তান নিজেদের দখলে নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। এখন তারা কাবুলও দখলে নিতে এগোচ্ছে বিধায় উদ্বেগ-শঙ্কায় জনসাধারণ।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান তালেবানের শাসনে ছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদা নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট সেখানে যৌথ অভিযান চালায়, যার মাধ্যমে তালেবান শাসনের অবসান ঘটে।

অভিযানে আল-কায়েদার শীর্ষ নেতাদের দমন করা হলেও ‘শান্তিরক্ষার স্বার্থে’ সেখানে ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান করছিল পশ্চিমা সেনারা। কয়েক বছর পার হওয়ার পর সেখান থেকে ধাপে ধাপে যুক্তরাষ্ট্র বাদে অন্য দেশের সেনাদের ফিরিয়ে নেয়া হয়।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রও তাদের সেনাদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করলে প্রত্যন্ত এলাকা দখল করে থাকা তালেবান কাবুলের ক্ষমতার মসনদে উঠতে জোর লড়াইয়ে নামে। যদিও এর মধ্যে তালেবানের সঙ্গে কাবুলের শাসকগোষ্ঠীর সংঘাতের অবসানে কাতারসহ বিভিন্ন পক্ষের মধ্যস্থতায় নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সব আলোচনাই ভেস্তে গেছে।

Advertisement

টিটিএন/জেআইএম