দ্রুতগতিতে পুরো আফগানিস্তান নিজেদের দখলে নিয়েছে তালেবান। এখন রাজধানী কাবুলের অভিমুখে তালেবান যোদ্ধারা। ফলে উদ্বেগ-শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে রাজধানীর মানুষ। রোববার সকালে আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় জালালাবাদ শহর বিনা যুদ্ধে দখলে নেয় তালেবানরা। এখন শুধুমাত্র কাবুল শহরটিই সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে।
Advertisement
এর আগে শনিবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাজার-ই-শরীফ দখল করে তালেবানরা। আফগান সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা দেশটির উত্তরাঞ্চলের সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল মাজার-ই শরিফ। এই শক্তিশালী ঘাঁটি দখল করে নেয়াটা তালেবানের জন্য একটি বড় অর্জন হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকেই আগ্রাসী হয়ে ওঠে তালেবান। একের পর এক শহর দখলের পর এখন তাদের লক্ষ্য রাজধানী কাবুল। ইতোমধ্যেই যুদ্ধ-সংঘাতে আফগানিস্তানে কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে। অনেকেই নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন শহর থেকে পালিয়ে কাবুলে আশ্রয় নিয়েছেন। ইতোমধ্যেই পশ্চিমা দেশগুলো তাদের নাগরিকদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বাল্খ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরিফ বিনা লড়াইয়েই দখল করে নিয়েছে তালেবান। এটি আফগানিস্তানের চতুর্থ বৃহত্তম শহর।
Advertisement
সরকারি বাহিনীগুলোর এমন বিপর্যয়ের পর আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছে। কাবুলে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে লড়াই করবে নাকি আত্মসমর্পণ করবে এই কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি এখন আফগানিস্তান প্রেসিডেন্ট।
এদিকে বিপর্যস্ত দেশটি থেকে নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য পাঁচ হাজার সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সৈন্য সরিয়ে আনার সিদ্ধান্তের পক্ষে বলেন, অন্য দেশের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব মেটাতে অনন্তকাল ধরে কোন দেশে মার্কিন অবস্থান জানান দেয়ার সমর্থন করা যায় না।
টিটিএন/এমকেএইচ
Advertisement