আগামী ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার ২০ বছর। এর মধ্যেই দেশে নতুন করে সন্ত্রাসবাদের হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওই হামলা চালানো হয়। হামলায় প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এবং আরও ৬ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়। একই সঙ্গে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অবকাঠামো ও সম্পদ ধ্বংস হয়েছে।
Advertisement
একদিকে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদের হুমকিতে চাপের মুখে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ন্যাশনাল টেরোরিসম অ্যাডভাইজরি সিস্টেম বুলেটিন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ এবং দেশের বাইরের সন্ত্রাসবাদের হুমকিতে রয়েছে।
সহিংস চরমপন্থা ছড়িয়ে দিতে এবং হিংসাত্মক কার্যকলাপকে উৎসাহিত করতে অনলাইন ফোরামগুলোর ব্যাপক ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চারটি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে নিউইয়র্কের বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্র এবং ওয়াশিংটনের পেন্টাগন ভবনে হামলা চালানো হয়। আরেকটি বিমান কোথাও আঘাত হানার আগেই বিধ্বস্ত হয়।
Advertisement
ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বাধীন তালেবানকে ওই হামলার জন্য দায়ী করেছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র দেশগুলো। আল-কায়দা আফগানিস্তান থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানানো হয়।
ওই হামলাকারীদের মধ্যে তিনটি দলে ছিল পাঁচজন করে। তারা টুইন টাওয়ার এবং পেন্টাগনে বিমান হামলা চালায়। আর যে বিমানটি পেনসিলভানিয়ায় ভেঙে পড়ে তাতে ছিনতাইকারী দলে ছিল চারজন।
প্রত্যেক দলে কমপক্ষে একজন ছিনতাইকারীর বিমান চালক হিসাবে প্রশিক্ষণ ছিল। এই ছিনতাইকারীরা তাদের পাইলটের ট্রেনিং নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইং স্কুলে।
হামলা চালানো মোট ১৯ জন বিমান ছিনতাইকারীর মধ্যে ১৫ জনই ছিল সৌদির নাগরিক। এছাড়া দু'জন সংযুক্ত আরব আমিরাতের, একজন মিসরের এবং একজন লেবাননের। ওই হামলার এক মাসেরও কম সময় পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আল-কায়দাকে নিশ্চিহ্ন করতে এবং ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করতে আফগানিস্তানে আক্রমণ করেন।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এই অভিযানে যোগ দেয় আন্তর্জাতিক মিত্র জোট। যুদ্ধ শুরুর কয়েক বছর পর ২০১১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশেষে ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে পায় পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে এবং অভিযান চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
টিটিএন/এমকেএইচ