নবজাতক থেকে শুরু করে বড় শিশুরাও অনেক সময় খাবারে অনীহা দেখায়। এর ফলে মায়েরা শিশুকে জোর করে খাওয়াতে গিয়ে আরও বিপত্তি বাড়িয়ে তোলে। কারণ জোর করে শিশুকে খাওয়ানোর সময় নানা বিপদ ঘটতে পারে।
Advertisement
অনেক সময় দেখা যায় শিশু ক্রমাগত বমি করতে থাকে আবার শিশুর শ্বাসনালীতে খাবার আটকেও যেতে পারে। তবে শিশুকে খাওয়ানোর উপায় কী? এই ভেবে দুশ্চিন্তায় থাকেন মায়েরা।
সেইসঙ্গে বর্তমানে সব শিশুরাই ফাস্টফুডজাতীয় খাবারের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তাই বার্গার, পিৎজা, চিপস আর কোল্ড ড্রিঙ্ক এগুলো শিশুর সামনে না দিলে দেখা যায় তারা কান্না ঢলে পড়ছে। তাদের সামাল দিতে শেষমেষ অভিভাবককে সেসব খাবার দিতেই হয়!
তবে এখন থেকে আর তা করা যাবে না। সেইসঙ্গে শিশুকে জোর করেও খাবার খাওয়ানো যাবে না। শিশুকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে পারেন। তাহলে দেখবেন শিশু আর ঘরের খাবার দেখে মুখ ফেরাবে না-
Advertisement
>> শিশুকে খেতে উৎসাহ দিতে হবে। সবসময় তাকে মুখে তুলে না খাইয়ে দিয়ে বরং তার সামনে খাবার রেখে দিন। শিশুকে একা খেতে দিন। বাড়ন্ত বয়সে এ দুটো বিষয় ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
>> খাওয়ানোর সময় শিশু মুখ ঘুরিয়ে নিলেই তাকে বকাবকি করবেন না। এতে শিশুর মেজাজ আরও বিগড়ে যাবে। তাকে উৎসাহ দিন। তার নানা কাজের প্রশংসা করুন। বুঝিয়ে সময় নিয়ে তবেই শিশুকে খাওয়াতে হবে।
>> শিশুদেরকে সবসময় সুস্বাদু খাবার খাওয়াতে হবে। সবসময় ভাত-তরকারি চটকে বা ব্লেন্ড করে শিশুকে খাওয়াবেন না। এতে খাবারের স্বাদ থাকে না। শিশুর জন্য পুষ্টিকর খাবার রান্না করুন।
>> সন্তানকে খাওয়ানোর সময় তার সঙ্গে আপনিও অল্প অল্প করে খান। তাহলে শিশু আপনার দেখাদেখি খাবে। খাবার মুখে নিয়ে কিভাবে আস্তে আস্তে চিবিয়ে খেতে হয়, তাও শিশু আপনাকে দেখেই রপ্ত করবে। এজন্য সময় দিন শিশুকে।
Advertisement
>> শিশুকে শুধু খাবার খাওয়ালেও হবে না। তাকে খাবার সম্পর্কে জ্ঞানও দিতে হবে। শিশু একটু বড় হতে শুরু করলেই তাকে বিভিন্ন খাবার ও এর স্বাদ সম্পর্কে জ্ঞান দিন। রান্না করার সময় শিশুকে পাশে রাখুন। তাকে বিভিন্ন সবজি ও ফলমূল সম্পর্কে জানান। এসব নিয়ে গেম খেললে শিশু দ্রুত মনে গেঁথে নিতে পারবে।
>> হাতে সময় থাকলে বাচ্চাকে নিয়ে সুপারশপে নিয়ে যান। সেখানে গিয়েও তাকে চেনাতে পারেন কোনটা কোন খাবার। আবার তাকে বলতে পারেন, এই ফল বা সবজিটা খুঁজে বের করতে।
>> যেকোনো খাবারের ডেকোরেশন এর স্বাদ আরও বাড়িয়ে তোলে। শিশুর খাবার বলে কি সাজাবেন না! এ ধারণা ভুল। বিভিন্নভাবে শিশুর খাবার ডেকোরেশন করতে পারেন। এতে শিশুর খাওয়ার আগ্রহ বাড়বে।
জেএমএস/এমএস