দেশজুড়ে

প্রথম ডোজ নিয়ে বসেছিলেন ব্যথায়, অন্য নার্স দিলেন আরেক ডোজ

গোপালগঞ্জে মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে মমতাজ বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধাকে করোনার দুই ডোজ টিকা দিয়েছেন দুই নার্স।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে জেলা সদরের শেখ সায়রা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

বৃদ্ধা মমতাজ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেদ গ্রামের মৃত নওয়াব আলীর চৌধূরীর স্ত্রী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জ শেখ সায়রা খাতুন মেডিকেল কলেজ টিকা কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়ান বৃদ্ধা মমতাজ। দুপুর পৌনে ১২টায় কার্ড নিয়ে তিনি নির্ধারিত কক্ষে টিকা নিতে যান। এ সময় কর্তব্যরত নার্স তাকে টিকা দেন। এর পাঁচ মিনিট পরই তাকে আবারও টিকা দেয়া হয়।

Advertisement

মমতাজ বেগম বলেন, আমি টিকা কেন্দ্রে প্রবেশের আগে টিকার কার্ড জমা দেই। পরে আমি মহিলা কক্ষে প্রবেশ করি। আমি একটি বেঞ্চে বসি। আমার আগে আরও চারজন নারী ছিলেন, তাদের টিকা দেয়ার পর একজন নার্স এসে আমাকে টিকা দেয়। টিকা দেয়ার পর একটু মাথা ঘুরছিল বলে আমি ওই কক্ষের বেঞ্চে টিকার স্থান চেপে ধরে বসে থাকি। মিনিট পাঁচেক পর আরেকজন নার্স এসে আমাকে বলে তাড়াতাড়ি হাত সরান। তখন আমি ব্যথার জন্য হাত দিয়ে চেপে ধরে বলি, আমি তো একটু আগে একবার টিকা নিয়েছি, এবার কি আরও একটা নিতে হবে? আমার কথা না শুনেই দিয়ে দিল। এরপর আমি বার বার বলেছিলাম আমাকে আবার দেয়া হলো কেন?। এরপর একজন নার্স বলে আপনাকে কী আর টিকা দিয়েছিলাম নাকি?

তবে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, একজনকে দুই ডোজ টিকা দেয়ার বিষয়টা আমি শুনেছি। আমি গোপালগঞ্জ সদরে ছিলাম না, মুকসুদপুর উপজেলায় গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসক সাকিবুর রহমান বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসক সাকিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানার পর টিকা গ্রহণকারীকে ডেকেছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে তাকে দুটি ডোজ দেয়া হয়েছে। আমি ওই নার্সকে ডেকে তার কাছে জানলাম। নার্স বললো ওই বৃদ্ধা প্রথম টিকা নেয়ার পর হাত বের করে বেঞ্চে বসেছিল তাই নার্স মনে করছিলেন তিনি টিকা নেবেন। নার্স দ্বিতীয় বার দিতে গেলে তিনি যখন বলেন আমি একটা নিয়েছি তখন আর টিকা দেয়া হয়নি। শুধু সুইয়ের খোঁচা লেগেছে। তারপরও আমি তাকে আমার মোবাইল নম্বর দিয়েছি কোনো সমস্যা মনে হলে আমাকে কল করার জন্য। এছাড়াও আমরা টিকা গ্রহণকারী বৃদ্ধার খোঁজখবর রাখছি।’

মেহেদী হাসান/এসজে/জিকেএস

Advertisement