জাতীয়

বিমানে যুক্ত হচ্ছে আরো বোয়িং

রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লাভের মুখ দেখায় বিমান বহরে যুক্ত হচ্ছে একের পর এক অত্যাধুনিক বোয়িং। এরই ধারাবাহিকতায় অল্প কিছুদিনের মধ্যে বিমানে যুক্ত হচ্ছে আরো দুটি বোয়িং উড়োজাহাজ। লিজে আনা হচ্ছে উড়োজাহাজ দুটি। ৭৭৭-২০০ ইআর মডেলের দু’টি অথবা ৭৭৭-৩০০ ইআর মডেলের একটি উড়োজাহাজ লিজ নিতে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ।উড়োজাহাজগুলো আগামী পাঁচ বছরের(৬০ মাস) জন্য ড্রাই লিজে বিমানবহরে যুক্ত করা হবে। লিজে আনা উড়োজাহাজ দিয়ে বিমানের বন্ধ হওযা রুটগুলো পুনরায় চালু করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ঠ সূত্র।বিমানের পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আব্দুর রহমান ফারুকী স্বাক্ষরিত দরপত্র থেকে জানা গেছে, ১০ ডিসেম্বর উড়োজাহাজ দুটি ড্রাই লিজ নেয়ার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহী এয়ারলাইনস, অপারেটর, এয়ারক্রাফটের মালিক, এয়ারক্রাফট উৎপাদনকারীসহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানিই কেবল এ দরপত্রে অংশ নিতে পারবে বলে দরপত্রে উল্লেখ করা হয়।দরপত্রে ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজের জন্য যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো এ উড়োজাহাজ যেকোনো ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত হতে পারে। দুটি ক্লাসের উড়োজাহাজটির আসন হতে হবে কমপক্ষে ২৮০টি। উড়োজাহাজের বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ১৫ বছর।অন্যদিকে, ৭৭৭-৩০০ ইআর মডেলের উড়োজাহাজটি দুটি ক্লাসবিশিষ্ট ৪১৯ আসনের হতে হবে। সব আসন ভালো অবস্থায় থাকতে হবে। আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা ই-মেইল ঠিকানায় জমা দিতে হবে। এছাড়া বিমানের প্রধান কার্যালয়ে রক্ষিত দরপত্র বাক্সেও আরএফপি জমা দেয়া যাবে। বিস্তারিত জানতে বিমানের জেনারেল ম্যানেজার (করপোরেট পরিকল্পনা), বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবনে যোগাযোগ করা যাবে। উড়োজাহাজ দুটির কার্যক্রম শুরু হবে আগামী বছরের মার্চে।বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মুখপাত্র ও জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক মাজাহারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা ও সেবার মান বাড়াতে বিমান বহরে নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ সংযোজন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে পাঁচটি সম্পূর্ণ নতুন বোয়িং বিমানবহরে যুক্ত হয়েছে। বাকিগুলো ধারাবাহিকভাবে যুক্ত হবে।এর ফলে বিমানে আর উড়োজাহাজ সংকট থাকবে না।এছাড়া চারটি বোয়িং-৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের মধ্যে দুটি ২০১৯ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে বিমানবহরে যুক্ত হবে। বাকি দুটি আসবে ২০২০ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে।উল্লেখ্য, বহরে পর্যাপ্ত উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ায় বিমান এখন কিছুটা লাভের মুথ দেখছে। লোকসানে থাকা বিমানকে মুনাফার ধারায় ফেরাতে ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আনা হয় চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ। এগুলোর নামকরণ করা হয় যথাক্রমে পালকি, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ ও রাঙা প্রভাত। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ হিসেবে দুটি ৭৭৭-২০০ ইআর, দুটি ৭৩৭-৮০০ ও দুটি ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ উড়োজাহাজ দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে বিমানবহরে সংযোজিত হয়েছে, যা বিমানের ঘুরে দাঁড়াতে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। এছাড়া গত নভেম্বরে আরো একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের নতুন এ উড়োজাহাজ বিমানবহরে যোগ হয়। যার নামকরণ করা হয়েছে ‘মেঘদূত’। আর চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বিমানবহরে যোগ হবে আরো একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ, যার নামকরণ করা হয়েছে ‘ময়ূরপঙ্খী’। আরএম/এসএইচএস/এএইচ/আরআইপি

Advertisement