দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ইসকন মন্দিরে গুলি ও বোমা হামলার ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে আটক সন্দেহভাজন পাঁচ ব্যক্তিকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রোববার দুপুরে পলাশবাড়ী আমলি আদালতে তাদের হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে আদালতের বিচারক মো. ওয়াহেদুজ্জামান শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা হলেন, পলাশবাড়ির মনোহরপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের সাকোয়াত হোসেন সরকার (৫৫), তার বন্ধু ও প্রতিবেশি আবু জাফর ইকবাল প্রধান (৫৬) এবং ইকবাল প্রধানের তিন ছেলে ফরহাদ হোসেন (২৮), ফুয়াদ হোসেন (২৫) ও সিহাব হোসেন (২০)। পলাশবাড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইসকন মন্দিরে হামলার ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি জানতে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।শুক্রবার গভীর রাতে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। ইসকন মন্দিরে হামলার ঘটনায় শরিফুল ইসলাম ও তার পরিবার এবং প্রতিবেশিদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। প্রতিবেশি ইকবাল প্রধানসহ তার ছেলেদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। আটক ইকবাল প্রধান হরিণাবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী। ওসি আরো বলেন, তদন্তে আরো তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে পুলিশ আশাবাদী। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ডাবোর ইউনিয়নের ডাউচি গ্রামে ইসকন মন্দিরে ধর্মসভা চলাকালে গুলিবর্ষণ ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেলসহ শরিফুল ইসলাম (২৯) নামে এক যুবককে আটক করা হয়। আটক শরিফুলের বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে। অমিত দাশ/এআরএ/আরআইপি
Advertisement