করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পরিসংখ্যানে এগিয়ে ছিল পুরুষরা। তবে আজকের হিসাব বলছে, ২৪ ঘণ্টায় পুরুষের চেয়ে নারীর মৃত্যু হয়েছে বেশি। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে আরও ২১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
তাদের মধ্যে পুরুষ ১০৭ জন ও নারী ১০৮ জন। মৃতদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৭৮ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩৪ জন ও বাড়িতে তিনজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩ হাজার ৬১৩ জনে। দেশে শনাক্তের পর করোনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
দেশে গত বছরের ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। শুরুর দিকে মৃত্যুর অধিকাংশই ছিল পুরুষের। পরবর্তীতে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সম্প্রতি এ মৃত্যুহার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
Advertisement
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম মৃত্যুর পর আজ (১২ আগস্ট) পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বমোট ২৩ হাজার ৬১৩ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ৬২৫ জন (৬৬ দশমিক ১৭ শতাংশ) ও নারী ৭ হাজার ৯৮৮ জন (৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ)।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, করোনায় মারা যাওয়া ২১৫ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বছরের মধ্যে দুইজন, দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব নয়জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৯ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৯ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫৬ জন, ষাটোর্ধ্ব ৬৩ জন, সত্তোরোর্ধ্ব ৩৬ জন, আশির্ধ্ব নয়জন ও একশ বছরের বেশি বয়সী একজন মারা যান।
বিভাগওয়ারি হিসেবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৬৫ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ জন, রাজশাহীতে আটজন, খুলনায় ২৮ জন, বরিশালে ১২ জন, সিলেটে ২২ জন, রংপুরে ১৬ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩ হাজার ৯৯০ জন। এ নিয়ে দেশে চিকিৎসা শেষে ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৬২ হাজার ৬৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
Advertisement
এমইউ/এআরএ/এএসএম