সিলেটের তিন পৌরসভার মধ্যে কানাইঘাট পৌরসভার এক মেয়র প্রার্থী ও দুই কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। রোববার প্রত্যাহারের শেষ দিনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন তারা। এদিকে, তিন পৌরসভায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের চার বিদ্রোহী স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তাদের কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। তারা নির্বাচনে অনড় রয়েছেন।এরা হলেন- মেয়র পদে স্বতস্ত্র প্রার্থী সুলতান আহমদ ও কাউন্সিলর পদে ২নং ওয়ার্ডে মো. শরিফ উদ্দিন এবং ৬নং ওয়ার্ডে মো. রুহুল আমিন।বিকেল সোয়া ৫টায় কানাইঘাট পৌরসভার সহকারী রিটার্নিং অফিসার কামাল আহমদ তিনজনের প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।এছাড়া অন্য দুই পৌরসভায় মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেননি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তারা।তবে সিলেটের তিন পৌরসভায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের চার নেতা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন রোববার তাদের কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। আওয়ামী লীগের এই বিদ্রোহী প্রার্থীরা বলছেন, দল বহিষ্কার করুক বা যে শাস্তিই দিক, নির্বাচন থেকে সরে তাদের প্রশ্নই আসে না। দল মনোনিত প্রার্থীর বিরুদ্ধেও সোচ্চার রয়েছেন তারা। দলের প্রার্থীর চেয়ে নিজেদেরই যোগ্য দাবি করছেন বিদ্রোহী মেয়রপ্রার্থীরা। বিদ্রোহী মেয়রপ্রার্থীরা নিজেরদের পরীক্ষিত ত্যাগী দাবি করে এই বিদ্রোহী নেতারা বলছেন, যাদের আওয়ামী লীগ সমর্থন দিয়েছে তারা দলে অনুপ্রবেশকারী। এরা হলেন, সিলেটের গোলাপগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক, পৌরসভার সাবেক প্রশাসক সিরাজুল জব্বার চৌধুরী, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রাবেল। জকিগঞ্জে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমদ। কানাইঘাটে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন মিজান। গোলাপগঞ্জে মেয়র প্রার্থী সিরাজুল জব্বার চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেছেন, তিনি আওয়ামী লীগ করেন ঠিক, তবে তিনি দলীয় প্রতিকে নির্বাচন করছেন না। এটা চাননি জানিয়ে বলেন, দলের তৃণমূল কর্মীদের চাহিদা ও মানুষের ভালবাসায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনি। নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি জানিয়ে তিনি বলেন, আমি নির্বাচন করব এবং জয়ী হবো ইনশাল্লাহ। জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, প্রথমে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার মনোনয়নপত্র অবৈধ করা হয়েছিল। আপিলে তা ফিরে পেয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের প্রশ্নই আসে না জানিয়ে তিনি বলেন, দলের তৃর্ণমূল নেতাকর্মী ও পৌরবাসী তাকে চান, তাই তিনি স্বতন্ত্র মেয়র হিসেবে নির্বাচন করছেন।এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জকিগঞ্জে যাকে দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে, তাকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী আখ্যা দিয়ে ফারুক আহমদ বলেন, দলে তার কোনো পদ পদবি নেই, অথচ তিনি (দল মনোনিত প্রার্থী) জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে এনে সংবর্ধনা দিয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খলিল। ছামির মাহমুদ/এআরএ/আরআইপি
Advertisement