বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পৃথক পৃথক মামলায় এখন পর্যন্ত কত টাকা উদ্ধার হয়েছে প্রশ্ন তুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিতভাবে এ তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।
Advertisement
এক আসামির জামিন শুনানিতে বুধবার (১১ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবীরা বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা পৃথক মামলায় নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন শান্তিনগর শাখার সাবেক ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী চৌধুরী। জামিন আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল দেন। সাত মামলায় তার জামিন প্রশ্নে রুল শুনানির জন্য আজ পৃথক সাতটি আবেদন কার্যতালিকায় ছিল।
Advertisement
এর মধ্যে আদালত দুই মামলায় মোহাম্মদ আলীকে জামিন দিয়ে অপর পাঁচ মামলায় জামিন আবেদনের শুনানি এক সপ্তাহ মুলতবি করেছেন। পরবর্তী শুনানির জন্য ১৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখা থেকে মোট সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণের অভিযোগ ওঠে। এরপর অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধান শেষে ৬১টি মামলা করে দুদক।
এসব মামলায় মোট ১২০ জনকে আসামি করা হয়। গ্রেফতার হয়েছে ১৪ জন। কিন্তু মামলার পাঁচ বছর অতিক্রম হলেও এখনো আদালতে একটি মামলারও চার্জশিট দাখিল করেনি সংস্থাটি।
এফএইচ/এআরএ/এমএস
Advertisement